পায়রা বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ
ঝড়ো হাওয়ার সাথে বইছে বৃষ্টি
Published : Sunday, 26 May, 2024 at 3:06 PM Count : 143
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সর্বোচ্চ ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জারী করায় উপকূলীয় এলাকার মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। পটুয়াখালীতে সকাল থেকে দমকা ঝড়ো হাওয়া সাথে বইছে বৃষ্টি।
বিরামহীন ভাবে মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাবার ঘোষণা করছে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা।
পায়রা বন্দরের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, বন্দরের সকল জলযান ও সম্পদ ইতিমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বন্দরের সকল কার্যক্রম। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় একাধিক টিম গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীণ সকল রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলগুলোর আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যা দূর্গতরা আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। জেলায় মোট ৭০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৩৫টি মুজিব কিল্লাসহ শতাধিক প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, বিভিন্ন পয়েন্টে ১০ কিলোমিটারের মতো বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী মেরামতের জন্য ৬০০ বস্তা জিও ব্যাগ ও লোকবল প্রস্তুত রেখেছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম জানান, বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার দূর্গত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সন্ধ্যা নাগাদ অর্ধলক্ষ লোক আশ্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম জানান, প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্রে লোক আসতে শুরু করেছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন। সন্ধ্যা নাগাদ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসবেন। দূর্গত এলাকার লোকদের স্বেচ্ছাসেবক, ইউপি সদস্য, চৌকিদার ও সমাজ কর্মীদের মাধ্যমে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার কাজ চালানো হচ্ছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন তাদের জন্য সরকারের তরফ থেকে খাবারের ব্যবস্থা হচ্ছে।
-এমপি/এমএ