ঘোড়াঘাটে ইরি-বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু
Published : Thursday, 16 May, 2024 at 6:25 PM Count : 293
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কৃষকরা ইরি-বোরো পাকা ধান কাটা শুরু করেছে। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবীদ উম্মে সালমা এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ১ সপ্তাহ থেকে উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ইরি-বোরো পাকা ধান পুরোদমে কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। মৌসুমের শেষ পর্যায়ে ফসলের অবস্থা খুব ভালো রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবারের উপজেলা ইরি-বোরো বাম্পার ফলন উৎপাদন হয়েছে। আগাম জাতের ধান পেকেছে। ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলায় কৃষকদের অর্ধেক ভুত্তুকি মূল্যে আধুনিক ধান কাটার মেশিন, কম্বাইন হারভেস্ট সরবরাহ করা হয়েছে। এ ধান কাটার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ একর জমি ধান কাটা ও মাড়াই একই সাতে করা যায়। ফলে ধান কাটার জন্য কৃষকদের শ্রমিক নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে না। ধানের জমিতে ধান কর্তনের পর একই সাথে মাড়াই করে ধান বস্তায় ভড়া হয়। এ আধুনিক প্রযুক্তির মেশিন ব্যবহারে খুব সল্প সময়ের মধ্যেই পাকা ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে। কৃষকরা সহজেই সল্প খরচে ধান কাটা ও মাড়াই করতে পেরে খুব খুশি। এছাড়া ধান কাটা মাড়াই এর জন্য ছোট বড় অনেক ধরনের আধুনিক মেশিন কৃষকদের নাগালে এসেছে। কৃষকরা এসব মেশিন ব্যবহারে ধান কাটা ও মাড়াই করতে পারছেন। এভাবে ধানের জেলা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় এখন মহাউৎসবে ইবি-বোরো ধান কাটা মাড়াই এর কাজ চলছে।
একইসাথে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের জমিতে ধান মাড়াই এরপর খড় শুকানো সম্ভব হচ্ছে। শুকনো খড় কৃষকরা সহজেই মাঠ থেকে বাড়িতে নিয়ে আসতে পারছেন। গবাদি পশু পালনের জন্য খড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষকদের নিজেদের চাহিদা পূরনের পর অবশিষ্ট খড় ভালো দামে বিক্রি করতে পারছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ রফিকুজ্জামান জানান, আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলায় ৩৫ ভাগ ধান কাটা মাড়া হয়েছে। এ ছাড়া ৪০ ভাগ ধান কাটা মাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। অপরদিকে পাঁচ ভাগ অন্য ফসল চাষাবাদ করায় দেরীতে ধান কর্তন হবে বলে জানিয়েছেন। চলতি বছর ইরি-বোরো ধান মাঠে প্রায় অর্ধেক পেকেছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটার আগেই মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসের ৩১ মে মধ্যে মাঠের সব ধান কাটা মাড়াইয়ের তাগিদ দিয়ে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। কৃষকরা স্বল্প সময়ের মধ্যে জমিতে থাকা পাকা ধান ঘরে তুলতে পারবে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলার ৯ হাজার ১২৬ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে।
জেআর/এমবি