For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

বন্ধ হয়ে গেল চাল আমদানি

Published : Thursday, 16 May, 2024 at 11:22 AM Count : 165

ফাইল ছবিভারত থেকে চাল আমদানির সময়সীমা শেষ হলো। চাল আমদানির জন্য বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার। তবে শেষ সময়ে চাল আমদানি করেনি কোনো প্রতিষ্ঠান।

চাল রপ্তানিতে ভারত সরকারের শুল্ককর আরোপ ও দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকটের কারণে অনুমতি থাকলেও এতদিন চাল আমদানি করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরে ২১ মার্চ ও ১৬ এপ্রিল দুই ধাপে দেশের ৮০টি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ সাত হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ আমদানি ও বাজারে সরবরাহের শেষ সময় ছিল ১৫ মে। এ পর্যন্ত মাত্র ২৮০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

বাণিজ্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর দেশে চালের চাহিদা রয়েছে তিন কোটি ৬০ লাখ টনের মতো। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল চার কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও মজুত করতে চাল আমদানি করা হয়ে থাকে। সম্প্রতি দেশে চালের দাম বাড়লে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে গত ১৩ মার্চ দেশের ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ৪৯ হাজার মেট্রিক টন ও আতপ চাল ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। পরবর্তীতে ১৬ এপ্রিল আরও ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে এক লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ৯১ হাজার মেট্রিক টন ও আতপ চাল ৩৩ হাজার মেট্রিক টন।

সরকার আমদানি ও বাজারে সরবরাহের শেষ সময় বেঁধে দিয়েছিল এ বছরের ১৫ মে পর্যন্ত। তবে চালের ওপর ভারত সরকারের নানা শর্ত, ২৫ শতাংশ শুল্ককর যুক্ত ও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট থাকায় ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করতে পারেননি। এর মধ্যে শেষ হয়ে যায় আমদানির সময়সীমা। এ পর্যন্ত দুটি চালানে মাত্র ২৮০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। সময় শেষ হওয়ায় ও শুল্ক বৃদ্ধি বহাল থাকায় বরাদ্দকৃত অবশিষ্ট চাল আমদানি নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা।
সাধারণ ক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে বেড়েছে চালের দাম। এতে কষ্ট হয়ে যায়। তবে চাল আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম কমবে শুনতে পারছি।

বেনাপোল বাজারের চাল বিক্রেতা সুশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, বর্তমানে বাজারে চালের দাম বাড়তি। খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৬ টাকা, মোটা চাল ৫০ টাকা, কাজল লতা ৫৫ টাকা ও বাসমতি চাল ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানি হলে আর নতুন ধানের চাল কৃষকের ঘরে উঠলে দাম কমবে বলে আশা করছি।

চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেনাপোলের নিপুণ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী লিপু হোসেন জানান, এবার তারা সরকারের কাছ থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। তবে চালের ওপর ভারত সরকারের নানান শর্ত, ২৫ শতাংশ শুল্ককর যুক্ত ও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট থাকায় এখন পর্যন্ত চাল আমদানি করতে পারেননি। এর মধ্যেই আমদানির সময় শেষ হয়েছে। এতে তার অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে।

চাল আমদানিকারক হাজী মুছা করিম অ্যান্ড সন্স’র স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ জানান, চাল আমদানিতে ভারতে ২৫ শতাংশ ও বাংলাদেশে ১৫ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে আমদানি করে তেমন লাভ নেই। নতুন করে যদি সরকার আমদানির সময়সীমা বাড়ায় তাহলে তারা আমদানির সুযোগ পাবেন।

বেনাপোল বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, নতুন করে চাল আমদানির অনুমতি পেলে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হবে।

-এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,