For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

অবরোধে অবরুদ্ধ চলনবিলের কৃষিখাত

চলনবিলে ভাম্যমাণ হাটে মিলছে না শ্রমিক

Published : Friday, 3 November, 2023 at 3:53 PM Count : 1275

দেশব্যাপী অবরোধে কারণে নাটোরেচলনবিলে ভাম্যমাণ শ্রমিকের হাটে মিলছে না শ্রমিক। এ কারণে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে কৃষকের কপালে।

চলনবিলাঞ্চলের নয়াবাজার শ্রমিকের হাটসহ বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, হরতাল আর অবরোধের কারণে দূরপাল্লার গাড়িসহ যানবাহন বন্ধ থাকায় শ্রমিক আসছে না। হাটে স্থানীয় অল্প সংখ্যক শ্রমিক দাঁড়িয়ে থাকলেও বাজার দামের চেয়েও বেশি দাম দিতে হচ্ছে তাদের। এতে করে এই এলাকার কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

এদিকে, শীতকালিন ফসল কাটা, রসুন বপণ, ধান কাটা থেকে শুরু করে কাজের প্রচন্ড চাপে দিশেহারা চলনবিলের কৃষকরা। কিন্তু অবরোধের কারণে খুঁজে পাচ্ছেনা প্রয়োজনীয় শ্রমিক। যে কারণে পরিবারের সকল সদস্য মিলে কাজ করছেন মাঠে।
 
গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের নয়াবাজারসহ শ্রমিকের ভ্রাম্যমাণ হাটগুলোতে এমন চিত্র বিরাজ করছে।

কার্তিক অগ্রহায়ণে চলনবিল জুড়েই শুরু হয় আমন ধান কাটা আর রসুন রোপণের কাজ। তাই কৃষক ও শ্রমিকরা নিজেদের প্রয়োজনেই ছুটে আসেন শ্রমিকের হাটে। মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে দর দাম শেষে চুক্তিবদ্ধ হয়ে চলে যান কর্মস্থলে। মালিকরা  ইচ্ছেমতো ক্রয় করতে পারেন শ্রমিক। কিন্ত এবারের দৃশ্যপট অন্যরকম। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশ ছোঁয়া দাম, অবরোধ আর শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা বড্ড অসহায় হয়ে পড়েছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, হাটে শ্রমিক না পেয়ে বেশি মজুরী দিয়ে অল্প সংখ্যক শ্রমিক নিলাম। পরিবারের সদস্য মিলে কাজ করতে হবে। তাছাড়া উপায় দেখছি না। প্রতিদিন খাবারসহ মজুরী হিসেবে দিতে হবে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। প্রতি বছর কম মূল্যে শ্রমিক পেতাম। অবরোধের কারণে দ্বিগুন লাগছে মজুরী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য বছর প্রতিদিন ভোর রাত থেকে শ্রমিক আর গৃহস্থদের আনাগোনা শুরু হতো। এ বছর মৌসুমের শুরুতেই অবরোধের কারণে দেখা মিলছে না দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা শ্রমিকদের। এ নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন মালিক শ্রমিক উভয়েই। 

চাটমোহর থেকে আসা শ্রমিক শুকুর আলী বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবার নিয়ে এমনিতেই রয়েছি সমস্যায় তার উপর আবার অবরোধের থাবা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নয়াবাজার শ্রমিকের হাটে এসেছি। কাজ না করলে পরিবার নিয়ে কি খামু বলেন। 

হাট ঘুরে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে একই দূরাবস্থার কথা।

কয়েকজন শ্রমিক জানান, ১০০ টাকার ভাড়া এখন ২০০ টাকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজের আশায় এ হাটে আসছেন। দাম তো একটু বেশী দিতেই হবে। তাছাড়া আমরা চলবো কিভাবে?

শ্রমিক নেতা দুলাল শেখ বলেন, বছরের এ সময় সাধারণত অনেক এলাকায় কাজ থাকে না। ফলে স্বল্পআয়ের মানুষরা মিলে দল গঠন করে এ হাটে আসি। কিন্তু অবরোধের কারণে এবার কেউ হাটে আসতে পারছেন না। এ কারণে শ্রমিকের সংখ্যা কম।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অবরোধের কারণে স্থানীয় শ্রমিক ও পরিবারের সদস্যদের নিয়েই রসুন লাগানো, আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করছেন। সময় মতো রসুন না লাগাতে পারলে জমি শুকিয়ে যাবে। ফলে দ্বিগুন খরচ পরবে। কি হবে সামনের দিনগুলোতে। যদি সহসাই দেশের অবস্থা ভালো না হয় তাহলে তাদের পথে বসতে হবে।

ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মতিন বলেন, দীর্ঘ কুড়ি বছর যাবত আমার ইউনিয়নের নয়াবাজারে শ্রমিকের হাট বসছে। ধান কাটা ও রসুন রোপণের সময় এখন। এ সময় যদি বাইরের শ্রমিক না আসতে পারে তাহলে চলনবিলের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

-এমএ/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,