চাকরির প্রলোভনে যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টা, আটক ২
Published : Friday, 27 October, 2023 at 3:30 PM Count : 1068
চাকরি দেওয়ার কথা বলে দেশের বৃহত্তম যৌনপল্লি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় বিক্রিকালে এক মেয়েকে (১৪) উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দু'জনকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে শিশুটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার চর চান্দা গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে জাহিদ (৩৫) ও বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর যমুনাবাড়ি এলাকার মো. জসিম উদ্দিন (২২)।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় জাহিদকে প্রধান আসামি এবং ২ নম্বর আসামি হিসেবে জসিম উদ্দিন, ৩ নম্বর আসামি হিসেবে যে বাড়ি থেকে শিশুটি উদ্ধার হয়েছে সেই বাড়িওয়ালী চম্পা বেগম (৫০) এবং ৪ নম্বর আসামি হিসেবে আপন মন্ডলের (২৪) বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, বাবা স্থানীয় বাজারে দর্জির দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। বাবাকে সহযোগিতা করতে স্থানীয় এক পরিচিতের মাধ্যমে প্রায় দুই মাস আগে সাভারের আশুলিয়ার কাঠালতলার একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ নেয় মেয়েটি। এক মাসের বেশি কাজ করার পর কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। কারখানায় জসিম উদ্দিন ও বগুড়ার খামাড়কান্দি শাপগ্রামের আপন মন্ডল নামের দু'জন কাজ করতো। শিশুর মাসিক বেতনের দায়িত্বভার পড়ে কারখানার লাইনম্যান জসিম উদ্দিনের উপর। বেতন না দেওয়ায় ০৯ অক্টোবর আশুলিয়া থেকে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যায় তার বাবা।
গত ২২ অক্টোবর রাতে ৪ নম্বর আসামি আপন মন্ডল ফোন করে মেয়েটিকে জানায়, তোমার বেতন হয়েছে এবং নতুন চাকুরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ কথা বলে তাকে বেতন নিয়ে যেতে বলে। কথা মতো মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) আপনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে রাত ৮টার দিকে সাভারের জামগড়ায় আসতে বলে। জামগড়ায় পৌছলে জাহিদ, জসিম উদ্দিন ও আপন মন্ডল আশুলিয়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে বাসে তাকে দৌলতদিয়া নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লির চম্পা বাড়িওয়ালীর বাড়িতে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে রেখে পরদিন সকালে নতুন কর্মস্থলে নিয়ে যাবে বলে জানায়।
পর দিন বুধবার তারা তাকে পতিতাবৃত্তির কথা বোঝাতে থাকলে মেয়েটি কান্না করতে থাকে। স্থানীয় লোকজন বুঝতে পেরে পুলিশকে খবর দিলে বিকেলে অভিযান চালিয়ে চম্পা বাড়িওয়ালীর বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, বুধবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার এবং দু'জনকে আটক করা হয়। রাতেই মেয়েটির বাবা মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন। অপর দুই আসামি চম্পা বেগম ও আপন মন্ডল পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ এবং শিশুটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
-এসআই/এমএ