আলমতলা ও খুদখালী বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিতে
Published : Thursday, 5 October, 2023 at 3:19 PM Count : 372
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে অতি বর্ষণ এবং শিবসা ও কড়ুলিয়া নদীর খরস্রোতে আলমতলা ও খুদখালী নদী ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়দের আশংকা ভাঙন কবলিত স্থান থেকে যেকোনো মুহূর্তে ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লস্করের আলমতলা ও গড়ইখালীর খুদখালী ভাঙন কবলিত ওয়াপদা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পওর (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মো. আশরাফুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ইউএনও মুহাম্মদ আল আমিন, পাইকগাছা উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার ও সংশ্লিষ্ট দুই ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আব্দুস ছালাম কেরু ও কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাউবোর ১০/১২ পোল্ডারে শিবসা নদীর ভাঙনে গড়ইখালীর খুদখালীর ৮০০ মিটার বেড়িবাঁধ ও লস্কর ইউনিয়নের আলমতলায় ৭০০ মিটার বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিনের ভাঙন কবলিত। এর মধ্যে খুদখালির ১০০ মিটার এবং আলমতলার ২০০ মিটার খুবই ঝুকিপূর্ণ অস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে লঘুচাপ ও চলিত পূর্ণিমার অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার হরিঢালীর মাহমুদকাটি, গদাইপুর ও রাড়ুলীর জেলে পল্লী কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাইকার ৫২কোটি টাকা অর্থায়নে খুদখালি ও আলমতলার নদী ভাঙনরোধে টেকসই বেড়িবাঁধ এবং বাইনতলা সুইচগেট নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত এ প্রকল্পের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আর-রাদ কর্পোরেশনের প্রজেক্ট ইঞ্জি. আরাফাত জাহান বলেন, এ মুহুর্তে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন কবলিত খুদখালী ও আলমতলায় মাটি ও বালুর বস্তা ফেলে ডাম্পিং করা হচ্ছে। টেন্ডারের পরে ভাঙন কবলিত দুই স্থানে পানির গভীরতা তিন গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজেই পাউবো’র নতুন ডিজাইন হাতে পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মো. আশরাফুল আলম সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পোল্ডার রক্ষার্থে জরুরি ভিত্তিতে ডিজাইন অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশনা দেন। না হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ সময়ের মধ্যে কোন ক্ষয়ক্ষতি ঘটলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আক্তারুজ্জামান বাবু মুঠোফোনে বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবকে বিষয়টি অবগত করলে তাৎক্ষণিক তারা দু’জনই জরুরী ভিত্তিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
-এএস/এমএ