যমযম নূর সিটি হাউজিংয়ের স্বত্তাধিকারী নূর মোহাম্মদ কারাগারে
Published : Sunday, 24 September, 2023 at 10:34 PM Count : 454
সাভারের আলমনগর এলাকার সুগন্ধা হাউজিং কোম্পানীতে বেআইনি জনতাবদ্ধে অনধিকার প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া গুরুতর জখম করাসহ চুরি, ক্ষতিসাধন, ভয়ভীতি, হুমকি প্রদান ও হামলায় নের্তৃত্ব দেয়ার অভিযোগে দায়েকৃত মামলায় যমযম নূর সিটি হাউজিংয়ের স্বত্তাধিকারী নূর মোহাম্মদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার সুগন্ধা হাউজিংয়ের ভূমি উন্নয়ন ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় জামিন নিতে আদালতের দারস্থ হলে শুনানী শেষ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে নূর মোহাম্মদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৬ অগাস্ট ও ১৬ সেপ্টেম্বর সুগন্ধা হাউজিংয়ে পৃথক হামলার ঘটনায় ২২ সেপ্টেম্বর সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সুগন্ধা হাউজিংয়ের ভূমি উন্নয়ন ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলাম। মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞানামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কারাগারে পাঠানো নূর মোহাম্মদ (৫০) সাভারের বলিয়াপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি যমযম নূর সিটি হাউজিংয়ের স্বত্তাধিকারী এবং যমযম নূর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, জয়নাল (৫৫), ফিরোজ (৪০), রাসেল (৪২), সোহেল (২৮), বিশ্ব মিয়া (২৮), তামিম (৩২), রুহুল (৩৮), এ কে এম হাবিবুর রহমান (৫০), ফিরোজ (৪৭), আনিছ (৩৬), ফয়েজ উদ্দিন ওরফে ফয়েজ মোল্লা (৪০), রাশেদ ওরফে লম্বা রাশেদ (৪০), জশিম (৩৫), পাপ্পু (৩৬), ইমন (৩২), লাভলু (৩৫), আনিস (৪৪), গাউস (৩৩), আব্বাস (৫৫), সুলতান (৩৫) ও কাওসারসহ (৩৪) অজ্ঞাত ৫০-৬০ জন।
গত বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জলাশয় ও খাল দখল এবং অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করার দায়ে অনুমোদনহীন যমযম নূর হাউজিং কোম্পানিতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজউকের জোন-৮ এর পরিচালক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (উপসচিব) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান। অভিযানে হাউজিং কোম্পানিটির অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জলাশয় ও খাল থেকে বালু সরিয়ে নিতে হাউজিং কোম্পানিটিকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কর্মকাণ্ড স্থগিত ঘোষণা করেন রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট।
রাজউকের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান বলেন, অনুমোদন ছাড়াই যমযম নূর হাউজিং কোম্পানি গড়ে ওঠেছে। তারা জলাশয় ও খাল দখল করে বালু ফেলে ভরাট করে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে প্লট বিক্রি করছিল। যা আইনত অবৈধ এবং অপরাধ।
-ওএফ/এমএ