নোয়াখালীতে সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় সাজানো মামলা
Published : Sunday, 17 September, 2023 at 5:52 PM Count : 300
নোয়াখালী শহরে খরিদকৃত সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় সাজানো মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল হাই ডিলারের কনিষ্ঠ পুত্র আবু নাঈম বাপ্পি।
রোববার জেলা শহর মাইজদীর একটি স্থানীয় পত্রিকা অফিসে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাপ্পি অভিযোগ করেন, তার নিজের সহোদর বোনকে তার কেনা সম্পত্তির ওপর নির্মিত ভবনে আশ্রয় দিয়ে তিনি চরম বিপাকে পড়েছেন। তার বোন ওই সম্পত্তি জবরদখলের হীনলক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে সাজানো মামলা, হামলাসহ তাকে হয়রানি করে আসছেন।
বাপ্পি জানান, নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী উত্তর ফকিরপুর মৌজায় তার পিতা মরহুম আবদুল হাই'র দোতলা ভবনসহ ৬শতাংশ সম্পত্তি সফিকুর রহমানের কাছে সাফ বিক্রয় করেন। ওই ৬ শতাংশ জমি তিনি সফিকুর রহমানের কাছ থেকে বিগত ২০১১ সালে দোতলা ভবনসহ খরিদ করেন। যাতে তার নামে জমা খারিজ খতিয়ান, হাল খতিয়ান, পৌর হোল্ডিং, গ্যাস সংযোগ, ২টি বিদ্যুৎ সংযোগসহ যাবতীয় কাগজপত্র সম্পাদিত রয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ বিনা অজুহাতে সাজানো ও বানোয়াট মামলা, হামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন।
ইতোমধ্যে ওই দোতলা ভবন বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় তা সংস্কার তথা পূনঃ নিমার্ণের প্রস্তুতি নিয়ে বোনকে পরিত্যাক্ত ভবন ছেড়ে ভাড়া বাসায় ওঠতে বললে সে আজ, কাল যাচ্ছি বলে গড়িমসি শুরু করে। একপর্যায়ে আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগীতায় মানবিক কারনে বোনকে নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন বাপ্পি।
এদিকে তার বোন ভবন ছেড়ে না দিয়ে তিনি কাজ করতে গেলে তার বড় ভাই আব্দুর রহমান বাবুল ও তার স্ত্রী স্বপ্না, বোন রহিমা আক্তার আরজু, বোনের মেয়ে মাইশা, আরেক বোন মাজেদা আক্তার বহিরাগত সন্ত্রাসীসহ তার কাজে বাধা প্রদান করেন। বাপ্পি এ বিষয়ে জানতে গেলে উপরন্তু গত ৩১ মার্চ, শুক্রবার সকালে লাঠিসোটা নিয়ে বেদম মারধর করে তাকে। আহত হয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় বাপ্পি জেলার সিনিয়র বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে তার বোন অস্থায়ী নিষেধাষ্ণা চেয়ে বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ ১ম আদালতে এক দেওয়ানী মামলা করেন। বাপ্পি নিজের স্বপক্ষে দলিলাদি ও কাগজপত্র বিজ্ঞ আদালতে জমা দিলে বিজ্ঞ বিচারক বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে দোতরফা সূত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা না মঞ্জুর করেন। এতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাপ্পি নিজের পরিত্যক্ত ভবনে শ্রমিক নিয়ে কাজ করার সময় তার বড় ভাই আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না ও দুই বোন ভাগ্নীসহ অন্যন্যরা মরিছের পানি গুলে শ্রমিকদের চোখে মুখে মারতে থাকে।
একপর্যায়ে দৌড় দিলে মরিচ মেশানো পানিতে পা পিছলে সিঁড়িতে পড়ে আব্দুর রহমান বাবুল মাথায় ও কোমরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুত্বর আহত হয়। পরে বাপ্পিসহ স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে বাপ্পি তার কেনা সম্পত্তিতে যেতে পারছেন না বলে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এবিষয়ে সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআরএম/এসআর