For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

শিক্ষা ভবন: দের বছরের কাজ ৫ বছরেরও শেষ হয়নি

Published : Thursday, 14 September, 2023 at 4:37 PM Count : 188



মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পতনঊষারে আবুল ফজল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের কাজ প্রায় ৫ বছরেও শেষ হয়নি। কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ মাস সময় বেদে দিলেও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩ বছর অতিবাহিত হলেও আংশিক কাজ করে বন্ধ রাখা হয়েছে। 

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে কাজ শেষ করার জন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বারবার ধরনা দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে চরম অস্বস্তিতে পুরাতন ভবনে চলছে পাঠদান।  
জানা যায়, ২০১৮ সালে আবুল ফজল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়টি ৩০০০ স্কুল প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৫১ টাকা ব্যয়ে ৪ তালা বিশিষ্ট ভবনের কাজ শেষ করার জন্য ১৮ মাস সময় নির্ধারন করে ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। ২০১৯-২০ দুই বছরে দুতলা পর্যন্ত আংশিক কাজ করা হলেও বর্তমানে প্রায় তিন বছর ধরে কাজ বন্ধ অবস্থায় আছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার যোগাযোগ করেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। ফলে পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় পাঠদানে বিঘ্নিতা হচ্ছে। 

সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৪ তালা বিশিষ্ট ভবনের দু‘তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই করা হয়েছে। তিনতলার ছাদ ঢালাইয়ের জন্য বাঁশ লাগানো হয়েছে। এরপর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের ভবনটি সঠিক সময়ে কাজ না হওয়ায় অবকাঠামো সংকটে ছাত্রছাত্রীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলের পুরাতন আধপাকা ঘরে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, শ্রেণীকক্ষ সংকট নিয়ে ছোট ছোট রুমে গাদাগাদি করে ক্লাস করানো হচ্ছে। এসব রুমে ক্লাস করতে আমাদের মন বসেনা। আমাদের নতুন ভবনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হোক। আমাদের স্কুলের অনেক শিক্ষার্থীর সপ্ন ছিল নতুন ভবনে ক্লাস করবে কিন্তু তারা এসএসসি দিয়ে চলে গেছে। 

আবুল ফজল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, অনেক কষ্ট করে আমরা একটি ভবন পেয়েছিলাম কিন্তু দীর্ঘ ৩ বছর ধরে কাজ বন্ধ আছে। আমরা জানিনা কেন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক কষ্ট করে অবকাঠামো সংকট নিয়ে পাঠদান চলছে। 

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল আহাদ বলেন, বিগত ৩ বছর ধরে আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার যোগাযোগ করেও কাজ হচ্ছেনা। অবকাঠামো সংকট থাকায় বহুবার আবেদন করে একটি ভবন পেয়েছি। ভবনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার চিঠি দিয়েছি। আমাদের বিদ্যালয়ের অসমাপ্ত কাজ গুলো দ্রুত সম্পন্ন করা হোক। 

তবে এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. ফজলুর রহমান বলেন, কাজ শুরু করার কিছু দিন পর করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কাজ বন্ধ রাখা হয়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর রট-সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম অনেক বেশি বেড়ে যায়। যার জন্য আর কাজ করানো হয়নি। জিনিসপত্রের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার কাজ শুরু করবো। 

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুল আরেফিন খান বলেন, দ্রবমূল্যের উর্ধগতীর কারণ দেখিয়ে ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি। কাজ শেষ করার জন্য আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেছি। আশাকরি খুব শিগগিরই আবার কাজ শুরু হবে। 

তিনি আরও বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে যদি কাজ শুরু না করেন তাহলে আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পরিবর্তন করে ফেলবো। 

এসএস/এসআর

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,