নাগেশ্বরীতে বন্যায় ২৫ লক্ষ টাকার মাছের ক্ষতি
Published : Wednesday, 6 September, 2023 at 5:58 PM Count : 199
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বন্যার পানিতে তলিয়ে ভেসে গেছে ২১ হেক্টর আয়তন জলাশয়ের ২০৬টি পুকুরের মাছ। এতে মৎস চাষীদের ক্ষতি হয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা।
উপজেলা মৎস অফিস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অগাস্টে ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে একাধিকবার বন্যা আক্রান্ত হয় উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা। মাঝে মাঝে বৃষ্টি কমে আকাশ পরিস্কার হয়ে রৌদ্রজ্বল দিনের দেখা মিললেও ভাটিতে তখন পানি বেশি থাকায় বন্যার তেমন উন্নতি হয়নি। দেখা দেয় দীর্ঘ জলাবদ্ধতা। ডুবে থাকে ফসলি মাঠ ও সবজি ক্ষেত। এর মাঝে ভারী বৃষ্টিপাত হলে পানির উচ্চতা আরও বাড়ে। বন্যার্ত এলাকায় পুকুরের পাড় উপচে প্রবেশ করে বানের পানি। পরিপূর্ণ হয় পুকুর। একাকার হয়ে যায় মাঠ-ঘাট, পুকুর, খাল-বিল, জলাশয়। বেরিয়ে যায় পুকুর, খাল-বিল, জলাশয়ের মাছ।
পৌরসভার পূর্ব সাঞ্জুয়ারভিটার আব্দুর রশিদ, আনিছুর স্বপন বলেন, কয়েকদিন আগেও পুকুরে খেলা করত মাছগুলো। ভেবেছিলেন অল্প দিন পরে কোনো পাইকার ডেকে সেগুলো বিক্রি করে নতুন করে মাছের পোনা ছাড়বেন। কিন্তু সে স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন হয়নি। বেরসিক বৃষ্টি ও বন্যায় পুকুরের পাড় উপচে সব মাছ বের হয়ে গেছে।
প্রায় একই রকম কথা বলেন মেছনিরপাড়ের আলম মিয়া, নেওয়াশী বোর্ডঘরের জাহানুর, দবির হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অনেক মৎস চাষী। তারা বলেন, এ বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে তাদের। প্রণোদনা না পেলে তাদের পক্ষে কোনো ভাবে তা সামলানো সম্ভব হবে না।
সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন বলেন, সম্ভব হলে আবারো পুকুর মাছ চাষের জন্য প্রস্তুত করে সেখানে নতুন ভাবে পোনা ছাড়তে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস চাষীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ জানানো হয়েছে। প্রণোদনা পেলে তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
-কেএস/এমএ
