একসঙ্গে ৩ কন্যাসন্তানের জন্ম
Published : Tuesday, 27 September, 2022 at 10:38 PM Count : 191
দিনাজপুর জেলায় একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ওই নবজাতকদের জন্ম হয়।
সন্তানদের বাবা-মা চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ নগন এলাকার মনিরুজ্জামান-আফসানা মিমি দম্পতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে পারিবারিকভাবে মনিরুজ্জামান-আফসানা মিমির বিয়ে হয়। মনিরুজ্জামান পেশায় একজন স্যালসম্যান। বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি ছেলে সন্তান মায়ের গর্ভেই মারা যায়। এর এক বছর পর একসঙ্গে তিন কন্যা সন্তানের জন্মের খবরে পরিবারের সবাই খুশি।
মনিরুজ্জামান বলেন, বিয়ের এক বছর পরে ছেলে সন্তান তার মায়ের পেটেই মারা যায়। এর পর আলালাহ আমাকে একসঙ্গে তিনটি কন্যাসন্তান দিয়েছেন। আমি ও আমার পিতামাতা খুবই খুশি। আমার স্ত্রী ও সন্তানরা সুস্থ আছে।
নবজাতকদের বাবা আরও বলেন, কোমরের ব্যথা শুরু হলে ১৮ সেপ্টম্বর সকালে মিমিকে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সময় না হওয়ায় এবং প্রসব ব্যথা না হওয়া চিকিৎসকরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে মিমির ঝুঁকির বিষয়টি আমাদেরকে জানান। আমরা সিদ্ধান্ত দিলে মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসকরা সিজার করেন। এ সময় তিন কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। সত্যি আমরা খুব ভাগ্যবান আমাদের তিন কন্যাসন্তান হয়েছে।
আফসানা মিমির অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক ডা. শিমা বসাক। গাইনী ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র ষ্টাফ নার্স আফরোজা আক্তার জানান, প্রসূতির ডেলিভারির সময় ছিল ২৬ নভেম্বর। কিন্তু প্রসূতির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আগেই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিন নবজাতকের সকলের ওজন পাওয়া গেছে ১.৫০ কেজি করে। মা ও সন্তানেরা ভালো আছে। নবজাতকদের ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে।
আফসানা মিমির পাশে বসে আছেন নবজাতকদের দাদি মরিয়ম বেগম। তিনি বলেন, আমার পাঁচ ছেলে। কোন মেয়ে নেই। তাই একসঙ্গে তিন নাতনি পেয়ে আমি অনেক খুশি। আপনাদেরকে বলে বুঝাতে পারব না।
নবজাতকদের নানা আইযুব আলী এবং নানি আরবিনা বেগম বলেন, জামাই ছোট চাকরি করে। আল্লাহ তাকে এক সঙ্গে তিন কন্যা দিয়েছে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন। যেন সন্তানগুলো সুস্থ থাকে।
নবজাতকদের মা আফসানা মিমি বলেন, আমার প্রথম সন্তান মারা গেছে। সৃষ্টিকর্তা আমাকে তিনটি কন্যাসন্তান দিয়েছে। আমি খুব খুশি। দোয়া করবেন আমার সন্তানগুলো যেন সুস্থ থাকে।
এএইচ/এনএন