কেরানীগঞ্জে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও এক নারীর মৃত্যু
Published : Monday, 5 September, 2022 at 12:25 PM Count : 81
ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মান্দাইলের একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ এবং গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম ইদুলী বেগম পান্না (৫০)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইদুলী বেগম। তার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই দুর্ঘটনায় এনিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চারজনে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, গত ৩০ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মডেল মান্দাইল জাওলা পাড়া এলাকার একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস. এম আইয়ুব হোসেন জানান, ইদুলী বেগমের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধাীন ছিলেন। এর আগে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ আরও দু' জন চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নিহত ইদুলী বেগম পান্নার স্বামী মোক্তার হোসেন জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে তাদের গ্রামের বাড়ি। তিনি কেরানীগঞ্জে অটোরিকশা চালান। পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকতেন। তাদের তিনটি মেয়ে রয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানায়, এ ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে গত ৩০ আগস্ট দগ্ধ ৮ বছরের শিশু মরিয়ম প্রথম আইসিইউর ৪ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছিল। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর পর ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাৎ মারা যায়। তার শরীরের ৫২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গত ২ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোছা. বেগম (৬০)। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, বর্তমানে মোছা. বেগম ২৩ শতাংশ দগ্ধ, ইদুনী ওরফে পান্না বেগম ৫০ শতাংশ, সোনিয়া ২৩ শতাংশ, ও ইয়াছিন ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে এখন দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের অবস্থাও সংকটাপন্ন।