বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
Published : Friday, 3 September, 2021 at 10:12 PM Count : 209
গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও প্রবল বর্ষণে বগুড়ার সারিয়াকান্দির নিকট যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৯ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমার ৩ সে. মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি চুইয়ে পড়ছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, কামালপুরের রৌহাদহ গ্রোয়েন বাঁধের বেশির ভাগ অংশ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান দিয়ে পানি চুইয়ে পড়ায় বাঁধের পাশে বাঁশের পাইলিং এবং বালির বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষায় জরুরী প্রতিরক্ষামূলক কাজ করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, বন্যায় তিন উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার প্রায় সাড়ে ছয়শ’ হেক্টর জমির রোপা আমন, বীজতলা, সবজি, মাসকালাই জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম জানান, তিন উপজেলার ২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে সারিয়াকান্দির ২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
তিনি আরও জানান, উপজেলার সারিয়াকান্দি সদর, হাটশেরপুর, কাজলা, চালুয়াবাড়ি, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা ও কামালপুরসহ সোনাতলা ও ধুনটের ৬৫ হাজার ৩৮০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সারিয়াকন্দি, সোনাতলা ও ধুনটের বন্যা দুর্গত এলাকায় জিআরের ১২০ মে. টন চালসহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
-এমএ/এমএ