আমি যদি কোনো অন্যায় করি তাহলে প্রধানমন্ত্রী যে ব্যবস্থা নেবেন তাই মাথা পেতে নেব বলে জানিয়েছেন
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র
সাদিক আবদুল্লাহ।
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজে যোগদানের অনুরোধ জানান। একই সাথে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বাসায় বাসায় গিয়ে খোঁজাখুঁজি না করার জন্য প্রশাসনের প্রতিও অনুরোধ জানান।
নগরীর কালিবাড়িরোডস্থ সেরনিয়াবাত ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশ গিয়ে খুঁজছে। এতে করে অনেক কর্মী বাসা বাড়িতে যাচ্ছেন না। তিনি কর্মীদের বাসা-বাড়িতে আসতে এবং কাজে যোগদানের অনুরোধ জানান।
তিনি বিভিন্ন কর্মসূচী পালনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শোকের মাসে সকলকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। দলের বাইরে গিয়ে কোজ কাজ করলে তাতে দলেরই ক্ষতি হবে। তিনি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং সম্পূর্ণ ভিডিও প্রকাশ করে অপরাধ দেখে বিচারের দাবী জানান। এ ঘটনায় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের দু’ নেতার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জানান।
গ্রেফতারের আশংকা প্রশ্নে মেয়র বলেন, গ্রেফতারের জন্য প্রস্তুত রয়েছি, বললেই থানায় গিয়ে হাজির হবো। আমার বাসা ঘেরাও করার দরকার নেই। আমি পরিচিত লোক, আমি দলের সাধারন সম্পাদক, আমার চেহারা বাংলাদেশের সবাই চেনে, আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই। এটা আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাড়ি এ বাড়িতেআমাদের রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে মামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমি বার বার বলেছি ষড়যন্ত্রের কথা। দায়িত্ব গ্রহনের পর তিন বছরের ষড়যন্ত্র চলাকালে একনেকে ১৩০ কোটি টাকা পাস হলেও টাকা পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ না পেয়েও সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। কোনো ভাবেই পেরে উঠতে না পেরে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রকাশ্যে এসেছে।
ব্যানার অপসারণ প্রশ্নে বলেন, ব্যানার লাগানো দলের সিদ্ধান্ত ও অপসারণও দলের সিদ্ধান্ত। এটা দলের ব্যানার, ইউএনও সরকারী চাকুরী করেন এটা বাঁধা দেয়ার তিনি কেউ না।
সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্যানেল গাজী নঈমুল ইসলাম লিটু সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের ইউএনও এর বাসভবনে হামলা ও পরে আনসারদের ছোড়া গুলিতে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সহ নেতাকর্মী আহত এবং এরপরেই পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই ময়লা আবর্জনা অপসারণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গত তিন দিনে নগরীর বিভিন্ন সড়ক সহ বাসা বাড়ির সামনে বর্জ্যরে স্তুপ হয়ে গেছে। এতে করে নগর জুড়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এমএন/এসআর