শুক্রবার দুপুরে কারখানার পোড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানার ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তখনই তিন জনের মৃত্যু হয়।
দুপুর ২টার দিকে কারখানার সামনে ফায়ার সার্ভিসের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কারখানার পোড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভেতরে আরও মরদেহ থাকতে পারে, সে জন্য আরও তল্লাশিতে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
আগের রাতে মারা যাওয়া তিন জনসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জন হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ নুসরাত জাহান জানান, কারখানার ভেতর থেকে অনেকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ছয় তলা ভবনের চতুর্থ তলা পর্যন্ত প্রবেশ করা গেছে। সেখান থেকেই এতগুলো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে কারখানা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে শ্রমিকরা ভবনের ছাদে জড়ো হন। ছাদসহ বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেকে।
কারখানাটির পঞ্চমতলার একপাশে সেমাই, সেমাই ভাজার তেল, পলিথিন; অপর পাশে কারখানার গুদাম বলে শ্রমিকরা জানিয়েছেন। কারখানার ষষ্ঠতলায় কার্টনের গুদাম বলে জানা গেছে। টানা ১৯ ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলতে থাকায় ছয়তলা ভবনটিতে ফাটল দেখা দেয়।
-এমএ