জনবলের অভাবে অচল হচ্ছে যন্ত্রপাতি, রোগীদের ভোগান্তি
Published : Saturday, 3 July, 2021 at 3:08 PM Count : 172
ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব যন্ত্রপাতি থাকলেও টেকনিশিয়ান আর বিশেষজ্ঞের অভাবে সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে প্যাথলজি সবখানেই এখন ময়লার স্তুপ।
নষ্ট হয়ে গেছে এক্স-রে মেশিন। আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি মেশিন থাকলেও কিছুই হয় না এখানে। সামান্য রক্ত পরীক্ষাও করাতে হয় বাইরে থেকে। এর ফলে রোগীরা এখানে এসে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়েন।
কাগজে, কলমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব ওষুধ থাকলেও বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন। রোগীদের অধিকাংশ ওষুধই কিনতে হয় বাইরের ফার্মেসী থেকে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের কয়েকজন স্বজন জানান, এখান থেকে কোন কিছুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য এসব পরীক্ষা করাতে হয় বাইরে থেকে। হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ দিলেও অধিকাংশ ওষুধই কিনতে হয় বাইরের ফার্মেসী থেকে। আমরা গরীব মানুষ, তাই অনেক ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে সমস্যা হচ্ছে। অত্যন্ত প্রয়োজন হলে ধার-দেনা করে টাকা এনে ওষুধ কিনতে হয়।
তাই সরকারের কাছে দাবি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব ধরনের ওষুধ ও রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।
প্যাথলজি বিভাগের টেকনিশিয়ান রিয়াজ বলেন, প্রায় সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। তবে প্যাথলজিতে মেডিসিন নেই। যে কারণে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা যাচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত ওষুধ থাকে। তবে মাসের শেষের দিকে কিছু ওষুধের সংকট হয়। যার জন্য হয়তো বা কিছু রোগীকে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্যান্য সমস্যার সমাধান এবং জনবল বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। প্যাথলজির জন্য এ অর্থবছরে দুই লাখ ১২ হাজার ২৮ টাকার মেডিসিন বরাদ্দ হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে তা চলে আসবে। আশা করছি শিগগিরই এসব সমস্যার সমাধান হবে।
-এইচপি/এমএ
