বাড়ানো হয়েছে করোনা ওয়ার্ড
রামেকে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে
Published : Wednesday, 30 June, 2021 at 10:30 AM Count : 334
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১২ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। বাকি সাত জন করোনার 'উপসর্গ' নিয়ে মারা যান।
বুধবার রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার এই হাসপাতালে সর্বোচ্চ রেকর্ড ২৫ জনের মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ১২ জন মারা যান। এ নিয়ে চলতি মাসের ৩০ দিনে (০১ জুন সকাল ৮টা থেকে ৩০ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৩৫৫ জন।
মৃত ১২ জনের মধ্যে রাজশাহী জেলার আট জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার দু'জন, নাটোর জেলার একজন, নওগাঁ জেলার এক জন রয়েছেন। বয়স বিবেচনায় মৃতদের ষাটোর্ধ্ব চার জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৫০ বছরের মধ্যে দু'জন, ৪০ এর মধ্যে একজন রয়েছেন। তবে ৩০ বছরের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।
তিনি বলেন, রাজশাহীর দুটি পিসিআর ল্যাব মঙ্গলবার মোট ৬৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা শনাক্তের হার রাজশাহী জেলায় বেড়ে আবারও ৩২ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশে উঠেছে। এছাড়া নওগাঁ জেলায়ও করোনা শনাক্তের হার বেড়ে ৪৭ দশমিক ৭৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
শামীম ইয়াজদানী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ ও করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৬৩ জন। এর মধ্যে রাজশাহী জেলারই রয়েছেন ৪৩ জন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আট জন, নাটোর জেলার চার জন, নওগাঁ জেলার ছয় জন, পাবনা জেলার দু'জন রয়েছেন। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মোট ৪৬০ জন। অথচ হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরও রয়েছে ৪০৫টি।
তিনি বলেন, গত ২৭ জুন রামেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন যুক্ত করে এই ওয়ার্ডটিও কোভিড ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে। এই ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা রয়েছে ৪৮টি। আগে হাসাপাতালের ডেডিকেটেড শয্যা সংখ্যা ছিল ৩৫৭টি। এর সঙ্গে ৪৮টি শয্যা বেড়ে ৪০৫টিতে দাঁড়িয়েছে। এরপরও ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। ৪০৫ জনের বাইরের রোগীরা হাসপাতালের মেঝেতে এবং ওয়ার্ডের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ৪ নম্বর ওয়ার্ডটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজনের কাজ চলছে। এখানে ৪৫টি শয্যা রয়েছে। এটি হবে করোনা ইউনিটের সর্বশেষ সংযোজন। কারণ এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর কোন ওয়ার্ড নতুন করে করোনা ইউনিটে সংযুক্ত করা সম্ভব নয়।
-এমএ