বৃহস্পতিবার জাতীয় উদ্যানের স্টুডেন্টস ডরমিটরিতে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই কর্মশালা চলে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের আবাসস্থল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষক এবং প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক ড. তপন কুমার দে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সদর দপ্তর মৌলভীবাজার আয়োজিত কর্মশালায় ফরেস্টার, বন প্রহরী, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে স্বেচ্ছাসেবী সদস্য, শিক্ষক, সাংবাদিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ৩০ জন অংশ নেন।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সরোয়ারের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মো. কামরুল হাসান এবং প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আজিজ।
১০ দিনের কর্মশালার প্রথম দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণীর পরিচিতি, বর্তমান অবস্থান, বিস্তৃতি, আবাসস্থল এবং বিলুপ্তির সম্মুখীন স্তন্যপায়ী প্রজাতিসমূহের পরিচিতি তুলে ধরা হয়।
দ্বিতীয় সেশনে স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণীদের প্রজনন, প্রজননকালীন সময়ে তাদের আচরণ এবং সংরক্ষণের উপায় ও গুরুত্বের উপর আলোকপাত করা হয়।
এই প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন পরিচালনা করেন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আজিজ।
তৃতীয় সেশনে বাংলাদেশের সরীসৃপ প্রাণীর পরিচিতি, বর্তমান অবস্থা, বিস্তৃতি, আবাসস্থল, জীবনপ্রণালী, প্রজনন, সরীসৃপ প্রাণীর গুরুত্ব ও এদের বিলুপ্তির কারণ, হুমকিসমূহ ও সংরক্ষণের উপায়ের উপর আলোচনা করা হয়।
চতুর্থ সেশনে বাংলাদেশের উভচর প্রাণী পরিচিতি (বর্তমান অবস্থা, বিস্তৃতি, আবাসস্থল), জীবন প্রণালী, প্রজনন, প্রকৃতিতে উভচর প্রাণীর গুরুত্ব ও এদের বিলুপ্তির কারণ, হুমকিসমূহ ও সংরক্ষণের উপায় তুলে ধরা হয়।
সেশনটি পরিচালনা করেন জাবি’র প্রফেসর ড. মো. কামরুল হাসান।
-এসএস/এমএ