চরফ্যাশনে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট
Published : Friday, 28 May, 2021 at 5:21 PM Count : 111
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে টানা তিন দিন ধরে সাগরের জলে ঢালচর ও কুকরি-মুকরি। একদিন আগে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব কমলেও কমেনি দুর্ভোগ। ঢেউয়ের আঘাতে এ দুই ইউনিয়নে বিধ্বস্ত দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার মানুষ ।
গৃহহারা অনেকের আশ্রয় হয়েছে স্থানীয় বাজার ও অন্যের বাড়িতে। শুকনো জায়গার অভাবে দুদিন ধরে রান্না বন্ধ। এখন দেখা দিয়েছে তীব্র বিশুদ্ধ পানির সংকট। লবণ পানিই তাদের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়েও মিলছে না একটি গভীর নলকূপ। কোথাও কোথাও নলকূপের দেখা মিললেও তাতে পানি আসে না। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসসের প্রভাবে উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে বিকল হয়ে পড়েছে দুর্গম চর ঢালচর ও কুকরি-মুকরির গভীর নলকূপগুলো। ফলে নদীর লবণাক্ত পানিই তাদের একমাত্র ভরসা। এই দুই ইউনিয়নে পানির তোড়ে ভেসে গেছে দুই শতাধিক ঘেরের মাছ। তবে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে ত্রাণের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন চরফ্যাশন উপজেলা প্রসাশন।
২৭ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে তছনছ করে গেছে চরফ্যাশনের চর পাতিলার শতাধিক বসত ঘর। স্রোতে ভিটেমাটির সাথে ভাসিয়ে নিয়েছে আসবাবপত্র। মাটিছাড়া ভিটা ও বেড়া ছাড়া খুঁটির উপর দাঁড়িয়ে থাকা ঘরগুলো এখন বসবাসের অনুপযোগী। বসতঘরে মাচা করে দিন কাটাচ্ছে চরবাসী। নোনা পানিতে সব তলিয়ে থাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হওয়া এসব ঘরবাড়ি বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারো ৬ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। এভাবে গত দুইদিন জোয়ারে ভাসছে পাতিলা ও ঢালচরের ১০ হাজার মানুষ। চর পাতিলার চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা সাগর কূলের ঢালচরের। বাজারের ৬০ ভাগ মাছের আড়ত আর শতাধিক বসত ঘর বিধ্বস্ত। মাথার উপরের ছাউনি হারা দুর্গতদের ভোগান্তির শেষ নাই। স্থানীয় চেয়ারম্যান কিছু শুকনো খাবার দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। তবে তাদের পানির চাহিদা মেটানো বড় দুস্কর হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে চেয়ারম্যান ।
ঘরবাড়ির পাশাপাশি ক্ষেতের ফসল আর ঘেরের মাছ হারিয়ে এখন অসহায় এখানকার বাসিন্দারা। দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য গৃহ নির্মাণ সহায়তাসহ জরুরি পানি , খাদ্যত্রাণ সহায়তার দাবি জানান চর কুকুরি-মুকরির চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের আওতায় আনার কথা জানান চরফ্যাশন উপজেলা প্রসাশন ।
এসএফ/এনএন