হাওরে কাজ করতে গিয়ে নেত্রকোনার খালিযাজুরী, মদন, পূর্বধলা ও কেন্দুয়ায় মঙ্গলবার একদিনে বজ্রপাতে আট কৃষক নিহত হয়েছেন।
এ সময় আহত হয়েছেন আরো ৯ জন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের জন্য ১৫ হাজার ও আহত প্রত্যেকের জন্য তিন হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়দা প্রদান করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর, মদন, খালিয়াজুরী, পূর্বধলা ও কেন্দুয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় মঙ্গলবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে হঠাৎ গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হয়। মাঠে কাজ করার সময় কেন্দুয়ায় কৃষক ফজলু মিয়া ও বাচ্ছু খান নিহত হন।
জেলার মদনের ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের মৃত আবদুল কাদিরের ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ শরীফ (১৮), একই গ্রামের মৃত আবদুল মন্নাফের ছেলে মাওলানা আতাবুর রহমান (২১), মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামের মঞ্জিল হকের ছেলে মনির হোসেন (২৭) নিহত হন। এ সময় বজ্রপাতে পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের রবিন মিয়া (১৫), রুমান মিয়া (১৮), তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের ভিক্ষু মিয়ার স্ত্রী কণা আক্তার (৪৫) ও চন্দন মিয়ার স্ত্রী সুরমা আক্তার আহত হন।আহতদেরকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের খেলু ফকিরের ছেলে কৃষক অছেক মিয়া (৩২), একই গ্রামের আমির সরকারের ছেলে কৃষক বিপুল মিয়া (২৮) বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তারা ওই এলাকার বরবরিয়া হাওরে কাজ করছিলেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। আহতদের খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও একই সময়ে জেলার পূর্বধলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের পাটুরী গ্রামের ইসহাক ফকিরের ছেলে জুনায়েদ (১১) বজ্রপাতে মারা গেছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের জন্য তার পরিবারকে ১৫ হাজার ও আহতদের প্রত্যেকের জন্য তিন হাজার কওে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, বজ্রপাতে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে নগদ ১৫ হাজার এবং আহতদের পরিবারকে ৩ হাজার করে টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
-এসআই/এনএন