ইট ও ছনের দৃষ্টিনন্দন ‘ইকো ভিলেজ’
Published : Saturday, 15 May, 2021 at 5:32 PM Count : 323
নির্মল সবুজের সমারোহ, পাহাড়ের আকাবাঁকা পথ ও স্বচ্ছ নীল জলের লাভ লেকের সাথে আকাশের আলিঙ্গন, সব যেন একাকার হয়ে মিশে গেছে প্রকৃতি এই ‘টিলাগাঁও ইকো ভিলেজ’।
গ্রাম ঘোরার সুযোগ যাঁদের নেই, তাঁরা সত্যিকারের আদর্শ গ্রামের অনুভূতি পাবেন এখানে। অবশ্যই এখানে এসির কোন ব্যবস্থা নেই। এটি গড়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৮নং মাধবপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের টিলাগাঁও গ্রামে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যে তৈরি ইট ও ছনের দৃষ্টিনন্দন ইকো ভিলেজ।
এখানে মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য ছাড়াও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যে তৈরি করা হয়েছে ইট ও ছনের দৃষ্টিনন্দন চারটি রুম। ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আপনারাও ঘুরে যেতে পারেন এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যে তৈরি ইট ও ছনের দৃষ্টিনন্দন ইকো ভিলেজে।
এই ইকো ভিলেজ ইট, মাটি, কাঠ ও ছন দ্বারা তৈরি চারটি কক্ষ রয়েছে।
ঘুরতে আসা রুহুল ইসলাম হৃদয়, আজহারুল ইসলাম, হাসান আল-মামুন, আব্দুস শুকুর ডেইলি অবজারভারকে বলেন, দেশে বিভিন্ন নামী-দামী ইকো ভিলেজ আছে, তবে এই ভিলেজটা একটু ব্যতিক্রম। এই ভেইজটার মধ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খোঁজে পাওয়া যায়।
ইকো ভিলেজে দায়িত্বে থাকা ম্যানাজার সায়হান সিদ্দিকি হৃদয় ডেইলি অবজারভারকে বলেন, শুক্র ও শনিবারে রুম ভাড়া ৩ হাজার টাকা এবং অন্যান্য দিনের জন্যে রয়েছে ২ হাজার ৫শত টাকা। এখানে রয়েছে মনমুগ্ধকর পরিবেশ। দৃষ্টিনন্দন করার জন্য আমরা ব্যতিক্রম করে ঘরে তুলেছি এই ভিলেজটি। এটা বাংলাদেশের অন্যান্য ইকো ভিলেজের চেয়ে পুরোটাই ব্যতিক্রম।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে মানুষের আসা যাওয়া কমে গেছে। না হলে প্রচুর মানুষ বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে আসতেন।
কিভাবে যাবেন এই ইকো ভিলেজেখুবই সহজে আসতে পারেন দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে হেলিকাপ্টার যোগে মৌলভীবাজারের শমসেরনগর বিমানবন্দরে। সেখান থেকেও এখানে আসতে পারেন। আবার, বাস বা রেলপথে এলে ঢাকা থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর ট্রেনে করে নামতে হবে শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ বা শমসেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে। দেশের সব আন্তঃনগর ট্রেন শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ ও শমসেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। এখানে সব আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি আছে। এই ষ্টেশনগুলোতে নেমেও এখানে আসতে পারেন। ফলে আগেই জেনে নিতে হবে কোথায় নামতে হবে। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে নামলে সেখান থেকে বাস ও সিএনজি অটোরিকশা পাওয়া যায়। সেখান থেকে সিএনজি করে সহজেই ইকো ভিলেজে পৌঁছানো সম্ভব। আবার ভানুগাছ ও শমশেরনগর নামলে অটোরিক্স করে সেখানে পৌছাতে পারেন। আবার যাদের প্রচুর হাঁটার অভ্যাস আছে তারা ভানুগাছ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ হেঁটেও যেতে পারেন সেখানে। এছাড়াও বিমানে এলে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে নেমে বাস বা ট্রেনে আসা যাবে শমসেরনগর, ভানুগাছ বাজারে। সেখান থেকেই আপনি এই ইকো ভিলেজে আসতে পারেন। তাছাড়া আসার সময় দেখতে পারবেন শুধু চা-বাগান আর চা-বাগান।
তাছাড়া সবমিলিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন এরিয়ার মাঝে সুপরিচিত হিসেবে রয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ।
এসআর