কারাগারে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল
Published : Thursday, 8 April, 2021 at 3:59 PM Count : 259
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসা ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর (২৬) বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল ইসলাম তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় র্যাব বাদী হয়ে মামলা করে। পরে র্যাব রফিকুলকে গাছা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
জানা গেছে, মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি প্রদর্শন, তথ্য উপাত্ত ইলেকট্রনিক্স বিন্যাসে প্রকাশ ও সম্প্রচার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটনানোর অপরাধের কথা বলা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
বুধবার দুপুরে নেত্রকোনা থেকে শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে আটক করে র্যাব।
তারা জানায়, প্রাথমিকভাবে রফিকুলের ফোন তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু পর্ন ভিডিও পাওয়া গেছে। এছাড়া আসমা বেগম নামের এক নারীকে গোপনে বিয়ে করেছেন তিনি। সেই নারী সম্পর্কে তার ভাবির চাচাতো বোন। ২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি বিয়ে করলেও পরিবারের কেউ তা জানতেন না।
গত ২৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে রফিকুল ইসলামকে আটক করেছিল পুলিশ। অবশ্য সেদিন রাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
রফিকুল ইসলাম রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেন। শারীরিক আকৃতিতে ছোট হওয়ায় তাকে সবাই শিশুবক্তা বলে থাকেন এবং এ হিসেবেই পরিচিতি পান তিনি। রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। থাকেন ঢাকার অদূরে গাজীপুরে। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিকদল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গসংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহ-সভাপতি।
-এনএন