রাজধানী ঢাকায় আবাসিক ভবনের উচ্চতা কতটুকু হবে, তা অঞ্চলভেদে নির্ধারণ করতে নগর পরিকল্পাবিদরা পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো.
তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার মাহমুদের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরকে বসবাস উপযোগী করতে সীমাবদ্ধতাগুলো কীভাবে দূর করা যায় এবং আগামীতে নতুন করে যাতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে নগর পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোথায় রাস্তা হবে, কতটুকু রাস্তা হবে, আমাদের আবাসন কতটুকু লাগবে, শপিংমল কত হবে, স্কুল কত হবে- সবগুলো আমাদের যৌক্তিক ব্যবস্থাপনার উপর ভিত্তি করে যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদদের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উনারা উনাদের অবস্থান থেকে যৌক্তিকভাবে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন।
তিনি জানান, একটি আবাসিক এলাকায় আমরা যদি হিসেব করি, ছয় বা ১২ হাজার লোক সেখানে বাস করবে, সেখানে একটি স্কুল লাগবে, সে স্কুলটি যদি সেখানে এভেইলেবল না হয়, তাহলে দুই-তিন বা পাঁচ কিলোমিটার দূরের স্কুলে নিতে হবে। এজন্য পায়ে হাঁটার পরিবর্তে গাড়ি ব্যবহার করতে হবে, ট্রাফিক জ্যাম বাড়বে। আবাসিক এলাকায় যদি ওষুধের দোকান না থাকে, ওষুধ কিনতে যদি দূরে যেতে হয় তাহলে গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। প্রত্যেকটি আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনার ভেতরে কিছু কিছু সাপোর্ট ফ্যাসিলিটিজ থাকা দরকার। এসব বিষয় উনারা তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের রাস্তা কত আছে এবং অন্যান্য সাপোর্ট কত আছে সেটার ভিত্তিতে এখানে কত লোক বসবাস করবে, এটা (ভবন) ভার্টিক্যাল হবে নাকি হরাইজন্টাল হবে, সেই সিদ্ধান্তটা ওইটার ভিত্তিতে হতে হবে। কোনো সাপোর্ট নেই, এরপরেও যদি আমরা সবাইকে থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দেই তাহলে এ লোকগুলো এখানে থাকতে পারবে না। এসব নিয়ে উনারা আলোচনা করে মতামত দিয়েছেন, সেসব পর্যালোচনা করে দেখব ড্যাপের আনুষ্ঠানিক মিটিংয়ে কোনটা কোনটা অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
তাজুল ইসলাম বলেন, তারা (নগর পরিকল্পনাবিদ) বলেছেন, (ভবন) ভার্টিক্যাল নাকি হরাইজজন্টাল এক্সপানশন অর্থাৎ হাইরাইজ নাকি বা লোরাইজ বিল্ডিং হবে, এটা ডিপেন্ড করবে ওই এলাকায় যে সমস্ত সাপোর্ট থাকা দরকার সেগুলো আছে কিনা। যদি না থাকে এবং জোনভিত্তিক কোথায় কত হাইটের বিল্ডিং হবে এটা নির্ধারণ করার জন্য। আমার কাছে এটা যৌক্তিক বলে মনে হয়েছে। সবার সাথে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।
এসআর