ভাবির গলাকাটা লাশ উদ্ধার, দেবর হাসপাতালে
Published : Sunday, 4 October, 2020 at 3:37 PM Count : 370
নেত্রকোণার পূর্বধলায় নিজ ঘরে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘর থেকেই গলাকাটা অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করা হয়।
রোববার ভোর রাতে উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লিপি আক্তার (৩৫) ওই গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী। আর রাসেল মিয়া (৩০) একই বাড়ির আলাল উদ্দিনের ছেলে ও লিপির স্বামীর চাচাতো ভাই।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লিপির স্বামী আজিজুল পঞ্চগড়ে বিজিবিতে কর্মরত। আলিফ নামের তাদের ১২ বছরের এক ছেলে আছে। লিপি তার ছেলেকে নিয়ে বাড়িতেই থাকেন। ঘটনার দিন রাতে লিপি তার ছেলেকে নিয়ে নিজ ঘরের এক পাশে ও লিপির দেবর সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে একই ঘরের অন্য পাশে ঘুমাচ্ছিলেন।
সিরাজুল জানান, রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঘরে গোঙ্গানির শব্দ শুনে তারা জেগে দেখেন ঘরের মেঝেতে লিপি ও রাসেল গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে আহত দু'জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিপিকে মৃত ঘোষণ করেন। রাসেলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
লিপির শ্বশুর জালাল উদ্দিন জানান, তার ছেলে আজিজুল প্রায় ১৫ বছর আগে বিজিবিতে যোগদান করে। এর কিছু দিন পর উপজেলার জারিয়া গ্রামে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো চললেও গত ৩/৪ বছর ধরে লিপির সঙ্গে রাসেলের পরকিয়ার সম্পর্কের কথা শোনা যাচ্ছিল। এক সপ্তাহ আগে তার ছেলে আজিজুল ছুটিতে বাড়িতে এসে বিষয়টি পারিবারিক ভাবে সমাধান করে কর্মস্থলে ফিরে যায়। কি কারণে ও কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা বুঝে ঊঠতে পারছি না।
খবর পেয়ে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোরশেদা খাতুন, পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম ও ময়মনসিংহ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রামই সিন ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুন জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি (কাগজ কাটার এন্টিকাটার) উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ঘটনার প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না।
-এআই/এমএ