অবশেষে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকত ও নন্দদুলাল রক্ষিতকে রিমান্ডে নিয়েছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
কক্সবাজারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, র্যাব সদস্যরা বেলা ১১টায় জেলাখানায় আসেন এবং পৌনে ১২টার দিকে ওই ৩ পুলিশ সদস্যকে রিমান্ডের উদ্দেশ্যে কারাগার থেকে নিয়ে যান।
এর আগে সোমবার রাতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সাবেক ওসি প্রদীপসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে মঙ্গলবার রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে পুলিশের ৪ সদস্য ও পুলিশের স্বাক্ষী স্থানীয় ৩ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রদীপসহ ৩ জনকে কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
অন্যদিকে, গত ৩১ অগাস্ট ঘটনাস্থল শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারী ৩ এপিবিএন সদস্যকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।
এপিবিএনের এই তিন সদস্য হলেন, এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে র্যাব হেফাজতে নেয়া হবে।
এছাড়া ওই মামলায় রামু থানায় সংরক্ষিত ৩১টি আলামত র্যাব হেফাজতে আনার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এর আগে গত ০৫ অগাস্ট টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমারসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সিনহার বোন। পর দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রদীপসহ ৭ আসামি। পরে দুই দফা শুনানি শেষে ৩ কর্মকর্তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর কয়েকদিন পর বাকি ৪ পুলিশ সদস্যকে রিমান্ড দেন আদালত।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান।
-এফআই/এমএ