মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া করোনা রোগী মারা গেছেন
Published : Tuesday, 21 April, 2020 at 10:37 PM Count : 410
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে ঢাকার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসাপাতালে তিনি মারা যান।
মৃতের ভাইয়ের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. সাইফুর রহমান খান।
ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে গাজীপুর থেকে পালিয়ে নিজ এলাকায় এসে আত্মগোপন করেছিলেন। তিনি ছিলেন টাঙ্গাইলের করোনা আক্রান্ত দ্বিতীয় ব্যক্তি এবং এ ভাইরাসে জেলার প্রথম মৃত্যুবরণকারী। তিনি গাজীপুরের একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য থেকে গত ৮ এপ্রিল টাঙ্গাইলে দুই করোনা রোগী শনাক্তের কথা জানা যায়। তখন আক্রান্ত ব্যক্তিদের তথ্য নিতে গিয়ে মির্জাপুর উপজেলার এক স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া দ্বিতীয় আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো তথ্য পাচ্ছিল না স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা থেকে পাঠানো করোনা নমুনার সব রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে সিভিল সার্জন অফিস। পরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে আইইডিসিআর থেকে সেই ব্যক্তির নাম, উপজেলা আর মোবাইল নম্বর দেওয়া হলে সন্ধানে নামে উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর অবশেষে মোবাইল ট্র্যাকিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা হয়।
ঘাটাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, ‘তিনি গাজীপুরের একটি কারখানায় কাজ করতেন। কাজের সুবাদে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকাতেই বসবাস করতেন। গাজীপুরে থাকাবস্থায় জ্বর-সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হলে ঢাকায় আইইডিসিআরে তার নমুনা পরীক্ষা করান। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে নিজ বাড়ি ঘাটাইল উপজেলা রসুলপুর ইউনিয়নে এসে মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তার সন্ধান বের করা হয়। সেই রাতেই তাকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তার গ্রামের ১২০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ’
ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. সাইফুর রহমান খান বলেন, ‘ওই ব্যক্তির ভাই আমাদেরকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লাশ দাফনের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
এইচএস