নওগাঁয় নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন
Published : Monday, 20 April, 2020 at 10:07 AM Count : 296
নওগাঁর রাণীনগরে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সকল ধরনের পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
প্রশাসনের যথাযথ মনিটরিং ও উদাসীনতার কারণে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।
অসাধু ব্যবসায়ীরা করোনা ভাইরাসের প্রভাবকে পুঁজি করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও আসন্ন রমজানে এসব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকা, জিরাসাইলসহ অন্যান্য চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৮-১০ টাকা, পেঁয়াজ কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা, আলুর কেজি প্রতি দাম বড়েছে ১০ টাকা।
এছাড়াও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও আকাশ ছোঁয়া।
রাণীনগর বাজারের চাল ব্যবসায়ী মোকলেছুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসা হচ্ছে না বললেই চলে। যানবাহন বন্ধ থাকায় বাজারে চালের সরবরাহ কম। অধিক লাভের আশায় বড় বড় মিলাররা গুদামে চাল রেখে বাজারে চাল ছাড়ছেন না। তাই খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েই চলেছে।
রাণীনগর বাজারে আসা ক্রেতা রইচ উদ্দিন, মোহসিনসহ আরও অনেকেই বলেন, করোনা ভাইরাসের নামে যদি বাজারের এই অবস্থা হয় আসন্ন রমজানকে ঘিরে তাহলে বাজারের আর কি অবস্থা হতে পারে। তাহলে আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনরা কোথায় যাবো। তাই বাজারকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে হলে প্রশাসনকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, আমি নিজেও মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বাজার মনিটরিংয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও বাজার মনিটরিং দলকে সঙ্গে নিয়েও বাজারকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনতে চেষ্টা করছি।
নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল আলম বলেন, আমি নিজেও বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করছি। কিছু কিছু অসাধু ও লোভী ব্যবসায়ী বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ থাকলেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধি করে। এরা সরকারের ভাবমূর্তিকে চরম ভাবে নষ্ট করছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আমি মনে করি। আর এক্ষেত্রে প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা পালনের নির্দেশনা প্রদান করেছি।
-এমএ