শীতে খাবারে যে বিষয় খেয়াল রাখবেন
Published : Thursday, 20 December, 2018 at 10:56 AM Count : 324
দিন দিন শীত বাড়ছে। এর ফলে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, খাদ্যাভাস পরিবর্তনের ফলে যেনো কোনো অসুখ না হয়। আর তাই আসুন, জেনে নিই এ শীতে খাওয়া দাওয়া ও জীবনযাপনে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
পানি পান- শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পানি পান করা কমে যায়। এতে শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা হতে পারে। শীত বাড়লেও আমাদের যেন পানি পান করা কমে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে ঠাণ্ডা পানি পান করতে পারেন না, তারা প্রয়োজনে পানি কুসুম গরম করে খেতে পারেন।
কেউ কেউ ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ে শীতে ডাব খাওয়া বন্ধ করে দেন। ডাব কাটার পর কিছুক্ষণ (প্রায় পাঁচ মিনিট) রেখে তারপর ডাবের পানি পান করুন। এতে ঠাণ্ডার ঝুঁকি কমে যাবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের স্যুপ খেতে পারেন।
শাক-সবজি- শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বক সুস্থ রাখতে বিভিন্ন ধরনের রঙিন শাকসবজি খেতে পারেন নিয়মিত। রঙিন শাকসবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করবে; সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন ‘এ’সহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব পূরণ করবে। এগুলো ত্বকের রুক্ষতা দূর করবে। খাবারের চার্টে কমলা, গাজর, মাল্টা রাখার চেষ্টা করুন।
শীতে চুল পড়া বেড়ে যায়, চুলে খুশকি হয়। চুলের যত্নে প্রয়োজনীয় পানি পান করুন। বেশি বেশি রঙিন শাকসবজি ও টাটকা ফল চুলের এ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
চা-কফি- শরীর গরম রাখতে শীতে চা-কফি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এতে ঘুমের সমস্যা হয়, খাবারে রুচি কমে যায়। শরীর গরম রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত। বাদাম বা খাবারের তালিকায় মাছ থাকলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই চা-কফির পরিবর্তে সবাইকে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারে অভ্যস্ত হওয়া উচিত।
পিঠা- ঐতিহ্যগত কারণে শীতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়া হয়। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি অতিরিক্ত এ খাওয়া এবং কম হাঁটার কারণে শীতে অনেকের ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই পিঠা ক্যালোরি হিসাব করে খাওয়া উচিত এবং প্রধান খাবারের সঙ্গে সেটা সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। সর্বোপরি সবাইকে বাসার তৈরি করা খাবারে অভ্যস্ত হওয়া উচিত।
এসআর