এনপিপি প্রকল্পে 'দুর্নীতি'র খবর ভিত্তিহীন
Published : Wednesday, 11 September, 2024 at 4:02 PM Count : 86
পাবনার রূপপুর এনপিপি প্রকল্পে 'দুর্নীতি' বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা তথ্য বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। ভিত্তিহীন এসব বিবৃতির বিষয়ে বুধবার দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে রোসাটম স্টেট কর্পোরেশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রূপপুর এনপিপি প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়া কর্তৃক প্রদত্ত ১ হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার পরিমাণের রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণ (স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট) থেকে মোট ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়েছে।
এই পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত হলো দুটি পৃথক চুক্তির অধীনে দুটি ঋণ- ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারী প্রথম চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৪৯.১৩ কোটি মার্কিন ডলার (এই ঋণের মোট পরিমাণ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত, এবং এর ব্যবহারের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়ে গেল), আর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই দ্বিতীয় চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৭৩৩ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার।
দ্বিতীয় রপ্তানি ঋণের পুরো পরিমাণ হল ১ হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার যা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে এবং এই ঋণের ব্যবহারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
রূপপুর এনপিপি প্রকল্পে যে কোনো দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে না তার প্রমাণ এই হল যে, রাশিয়ান ফেডারেশনের আইন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণের প্রদানে সার্বভৌম ঋণগ্রহীতার কাছে সরাসরি টাকা স্থানান্তর করা হয় না।
রপ্তানি চুক্তির অধীনে বিদেশী গ্রাহককে প্রদত্ত যেকোনো পণ্য, কাজ বা পরিষেবাগুলোর অর্থায়ন রাশিয়ান রুবেলে রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয় রাশিয়ান রপ্তানিকারক সংস্থাকে সরাসরি দেয়। রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রদত্ত নথি অনুযায়ী এই লেনদেনগুলো করা হয় এবং পূর্বে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর উপর বিশেষায়িত বৈধ এজেন্ট-ভিইবি-আরএফ দ্বারা সেই নথিগুলো অনুমোদিত হয়৷ রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণের ব্যবহৃত পরিমাণ রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতি বিদেশী রাষ্ট্র ঋণগ্রহীতার ঋণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
আমরা বিশ্বাস করি যে যারা রূপপুর এনপিপিতে “দুর্নীতি” বিষয়ে ভুয়া খবর লিখে ছড়িয়ে দেয় তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করতে এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল এবং পারস্পরিক ভাবে উপকারী সম্পর্ককে নষ্ট করতে চেষ্টা করে।
-এমএ