‘আগে সিনেমা নয়, হল বানাতে হবে। তাহলে ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়িয়ে যাবে। কেননা আগে হল ছিল বেশি। সিনেমা ফ্লপ করলেও টাকা উঠে আসতো। এখন হিট হলেও টাকা উঠে আসে না। বেশি বেশি হল থাকলে সেটা সম্ভব হতো!’
সম্প্রতি বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের এক আড্ডায় কথাগুলো বলেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা অভিনেতা ওমর সানী।
তিনি বলেন, ‘মানুষ তো সিনেমা দেখতে চায়। গুলশান, বননীতে কোনো হল নেই। যদি ২০০ সিটের একটা হলও থাকতো, মানুষ গিয়ে সিনেমা দেখতে পারতো।’ ঢালিউডে কি আদৌ সুদিন ফিরবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভাঙাগড়ার মধ্যেই চলছে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি। সুদিন ফিরবে, কিন্তু আমরা দেখে যেতে পারবো না।’
মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওমর সানী বলেন, ‘আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড আমাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে। কিছু সমস্যার কারণে মৌসুমী টাকা ফেরত দিতে পারেনি। কিন্তু আমি বলেছি, ছোট ছোট অ্যামাউন্টে টাকা পরিশোধ করব, তারা মানেনি। তাই এই সমস্যা। সময় হলে এসব নিয়ে বিস্তারিত বলব। আমাদের কাছে সব প্রমাণ আছে।’
কাজের প্রসঙ্গে ওমর সানী বলেন, ‘আমি তো সব সময় কাজ করতে চাই। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে কাজ করতে পারি না। তবে এখন আশা করি পারবো। ওই সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে, আলো আসবেই ... (হাসি) আর ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াবে তার প্রয়োজনে।’
কয়েক মাস আগে মুক্তি পায় সানী অভিনীত ‘ডেডবডি’। কিন্তু দর্শক টানতে ব্যর্থ হয় ছবিটি। তবে সমালোচকদের কেউ কেউ ছবিতে সানীর চরিত্রের প্রশংসা করেছেন।
১৯৮৯ সালে ‘এই নিয়ে সংসার’ ছবির মধ্য দিয়ে ঢালিউডে যাত্রা শুরু হয় ওরম সানীর। অর্থনৈতিক সংকটে ছবিটি আর শেষ হয়নি। পরে মুক্তি পায় ওমর সানী অভিনীত ‘চাঁদের আলো’। এ ছবির মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক। এরপর ‘প্রেম প্রতিশোধ’, ‘মহৎ’, ‘আখেরি হামলা’, ‘চাঁদের হাসি’, ‘দোলা’, ‘আত্ম অহংকার’, ‘কুলি’, ‘কাঞ্চনমালা’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘দোলা’ ছবিতে প্রথম মৌসুমীর সঙ্গে অভিনয় করেন সানী। পরে ১৯৯৬ সালের ০২ আগস্ট তারা বিয়ে করেন।
-এমএ