হত্যা-লুটপাটকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি যুবদল নেতার
Published : Tuesday, 3 September, 2024 at 10:53 AM Count : 259
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শো-রুম ও গোডাউন থেকে ইলেকট্রনিক্স মালামাল ও নগদ টাকা লুটপাট এবং ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সেলিম।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সোমবার রাতে তার মালিকানাধীন লুটপাট ও ভাংচুরের শিকার শো-রুম ও গোডাউনের সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
মিজানুর রহমান বলেন, গত ৩০ বছরের মধ্যে হাজীগঞ্জে কোনো লুটপাট ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মাধ্যমে মানুষ হত্যার নজির নেই। অথচ ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ বাজারে লুটপাট ও মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের সিনিয়র ও দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আমার ইলেকট্রনিক্স মালামালের শোরুম ও দুটি গোডাউনে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করে প্রায় এক কোটি ৫৬ লাখ টাকার ক্ষতি করে।
তিনি বলেন, একই দিন আমার এলাকার ছাত্রনেতা হিমেলের বাবা আজাদ সরকাকে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসব ঘটনার প্রত্যক্ষ প্রমাণাদি রয়েছে। যা সবার চোখের সামনে হয়েছে। তাই, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ ও জোর দাবি জানাচ্ছি, তদন্তপূর্বক এসব ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদেরকে খুঁজে বের করে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন। যাতে করে এমন ঘটনা হাজীগঞ্জে দ্বিতীয়বার না ঘটে।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মিজানুর রহমান বলেন, দুটি ঘটনায় মামলা হয়েছে। অথচ পুলিশ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমি নিঃস্ব হয়েছি এবং ব্যাংক ঋণ ও ধার-দেনার টাকা নিয়ে বিপাকে আছি। অপরদিকে হিমেলের পরিবার তাদের অভিভাবক ও উপার্জনারীকে হারিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছে। তাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ আপনারা তদন্ত করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুন।
হাজীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ও কবির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরিফ, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব বিল্লাল পাটোয়ারীসহ প্রেস ক্লাবের অন্যান্য সদস্য ও সংবাদ কর্মী এবং বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। নামীয় আসামিদের পিতা-মাতা ও গ্রামসহ পরিচয় নিশ্চিতকরণে আমরা কাজ করছি। এছাড়াও যাদের নাম-ঠিকানা নিশ্চিত করা হয়েছে, তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
-এইচইউ/এমএ