ফেনীতে বন্যায় ১৭ জনের মৃত্যু
Published : Thursday, 29 August, 2024 at 4:32 PM Count : 92
সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে জেলার ছয় উপজেলার প্লাবিত হয়ে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। অনেকেই বানের পানিতে ভেসে যায়। তবে মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি তখন। ইতিমধ্যে পানি কমে যাওয়ায় অনেকের গলিত মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে পুলিশের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসন সূত্রে মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ১৭ জন বলে জানা গেছে। তন্মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায়- দুইজন, ছাগলনাইয়া- একজন, পরশুরাম- দুজন, ফুলগাজী-ছয় জন, সোনাগাজী- চারজন এবং দাগনভূঁইয়া উপজেলার দুইজন।
এর মধ্যে মংগলবার ফেনী সদর উপজেলার লালপুল এলাকায় অজ্ঞাত ৩৩ ও ৪৫ বছরের দুই পরুষের মরদেহ পাওয়া যায়। এছাড়া ছাগলনাইয়া উপজেলায় অজ্ঞাতনামা ৩৮ বছরের এক মহিলা, পরশুরাম উপজেলার ধনিকুন্ডা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৭০), মির্জানগরের দেলোয়ার হোসেন (৫০) ও ফুলগাজী উপজেলার নোয়াপুরের হাবিবের স্ত্রী শাকিলা (২২), উত্তর করইয়ার বেলালের ছেলে কিরন (২০), দক্ষিণ শ্রীপুরের মিজানুর রহমানের ছেলে রাজু (২০), কিসমত বাসুডার রহিম বাদশার ছেলে আবুল খায়ের (৫০), লক্ষিপুরের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ তারেক (৩২), শনির হাটের নুর ইসলামের কন্যা রজবের নেছা (২৫) ও সোনাগাজী উপজেলার সমপুরের মাবুল হকের ছেলে নাঈম উদ্দিন (২৮), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩৮), (হিন্দু) অজ্ঞাতনামা মহিলা (৩৮), ছাড়াইতকান্দির শেখ ফরিদের ছেলে আবির (৩) এবং দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর করিমপুরের নুর নবীর ছেলে নূর মোহাম্মদ মিরাজ (৮ মাস) ও আলমপুরের হুমায়ুন কবিরের ছেলে জাফর ইসলাম (৭)।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ জুলাই টানা ৪/৫ দিনের অতি বর্ষণে অতি ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম দফা ব্যাপক বন্যা সৃষ্টি হয়। তখন উজানের পানির তোড়ে স্থানীয় মুহুরী কহুয়া সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে অন্তত ২০টি স্থানে ভেঙ্গে পানি ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হয়। এক মাসের ব্যবধানে চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে টানা ভারী বৃষ্টিপাতে দ্বিতীয় দফা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে নতুন করে আরো ১০টি স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এতে পুনরায় উপরোক্ত উপজেলাসমূহ আবার বন্যায় কবলিত হয়। চলতি আগস্ট মাসের ২০ তারিখে তৃতীয় দফা ভয়াবহ বন্যায় কবলিত হয় ফেনীর সব উপজেলার মানুষজন।
এটিবি/এসআর