For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

৮ মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ ৮৮ শিক্ষক-কর্মকর্তার

Published : Thursday, 29 August, 2024 at 12:23 PM Count : 583

নেত্রকোণাপূর্বধলায় ঝরে পড়া শিশুদের নিয়ে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) ৮৮ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা গত ৮ মাস ধরে বেতন বঞ্চিত রয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় না হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার ৮০টি শিখন কেন্দ্র চালু রাখতেও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেরাকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ জন্য সংশ্লিষ্টরা দ্রুত অর্থ ছাড় করার জন্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে শতভাগ শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। (পিইডিপি-৪) এর মূল লক্ষ্য প্রথম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত সকল বিদ্যালয়গামী শিশুর একীভূত, সমতাভিত্তিক মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা। এরই সাব কম্পোনেন্ট ২.৫ এর আউট-অব- স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম। যার মূল লক্ষ্য প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয় বহির্ভূত (ঝরে পড়া এবং ভর্তি না হওয়া) ৮-১৪ বছর বয়সী শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া এবং আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মূল ধারায় নিয়ে আসা। পূর্বধলা উপজেলায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব গ্রহণ করে এনজিও সেরা।

কর্মকর্তারা জানান, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৮০টি শিখন কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২১ সালে উপজেলার ৮০টি শিখন কেন্দ্রে দুই হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৫৮১ জন শিক্ষার্থীকে মূল ধারায় সংযুক্ত করা হয়েছে এবং বর্তমানে এক হাজার ৬১২ জন শিক্ষার্থী ৫ম শ্রেণিতে অধ্যায়ন করছে। প্রকল্পে বর্তমানে ৮০ জন শিক্ষক, ছয় জন সুপারভাইজার, একজন উপজেলা ম্যানেজার ও একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বমোট ৮৮ জন কর্মরত রয়েছেন। 

সেরা সংস্থার বাস্তবায়নকৃত আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসূচিতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো শিক্ষকদের বেতন, শিখন কেন্দ্রের জন্য ঘর ভাড়া, সুপারভাইজার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বরাদ্দ সরাসরি ব্যুরো দিয়ে থাকে। 
প্রকল্পের ম্যানেজার মো.আমিনুল আলম বলেন, পূর্বধলায় আমাদের ৮০টি শিখন কেন্দ্র চালু রয়েছে। কেন্দ্রগুলোর শিক্ষক বা সুপারভাইজাররা একাউন্টপেয়ী চেকের মাধ্যমে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন পেয়েছেন। এরপর আর কোনো অর্থ ছাড় হয়নি। ফলে সংস্থা থেকে শিখন কেন্দ্রের উপকরণ, ঘর ভাড়াসহ আনুসাঙ্গিক কিছু ব্যয় মেটানো হলেও শিক্ষক-কর্মকর্তারা বেতনবঞ্চিত রয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক শিখন কেন্দ্রের শিক্ষকরা বলেন, দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়ার তারা অমানবিক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। আত্মীয়-স্বজনরাও আর তাদেরকে কোনো টাকা ধার দিচ্ছেন না। দোকানীও বাকী রাখা টাকার জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন। খুব কষ্টে সংসার চালাতে হচ্ছে।  

প্রোগাম সুপারভাইজারা বলেন, এই চাকরিই আমার একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু গত ৮ মাস বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। শিখন কেন্দ্রসমূহে শিক্ষার্থীদের সরকার ও প্রকল্পের দেওয়া বিনামূল্যে বই, খাতা, স্কুল ব্যাগ, ড্রেস ইত্যাদি সরবরাহ করে পাঠদান অব্যাহত রেখেছে। 

প্রকল্পের সফল সমাপ্তি ও সকল শিক্ষার্থীকে মূল স্রোতধারায় গমন করাতে হলে প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান রাখা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন অনেক অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ। কারণ এ বছরের জুলাই মাসে ৫ম শ্রেণীতে শিক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৬ মাসে ৫ম শ্রেণীর কোর্স ডিসেম্বর ২০২৪ এ সফল ভাবে শেষ করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। তাছাড়া সরকার পরির্তনে জানুয়ারি থেকে পাঠ্যবই পুনঃসংস্করণ হলে সে ক্ষেত্রে মূল স্রোতধায়ায় মানসম্মত পাঠদান করে গমন করাতে হলে ২০২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটি চালু রাখা দরকার অন্যথায় প্রকল্পের উদ্যেশ্য সফল নাও হতে পারে।

-এআই/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,