ফেনীতে সাড়ে ১১ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত
Published : Tuesday, 27 August, 2024 at 11:50 AM Count : 93
এক নাগাড়ে বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীতে প্রায় ১১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েন। উদ্ধার করা হয়েছে দেড় লাখ মানুষকে। এছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজ উদ্যোগে মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
সোমবার রাতে তথ্যগুলো জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সরকারি/বেসরকারি উদ্যোগে ৬২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সেনা বাহিনী, নৌ, র্যাব হেলিকপ্টারের সহায়তায় আরও ৪৮ হাজার প্যাকেট খাদ্যদ্রব্য মানুষের মাঝে বিতরণ করেছে। এর বাইরেও ব্যাপক ভাবে বন্যা কবলিতদের কাছে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দিয়েছে স্বচ্ছাসেবকরা।
এদিকে, জেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়াতে ইতোমধ্যে বন্যার পানি কমেছে।
ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মুহুরী নদীর পানি কমে যাওয়ায় পরশুরাম, ফুলগাজীতে বন্যা পরিস্থিতি লক্ষ্যণীয় উন্নতি হয়েছে। ফেনী শহরেও পানি কমছে। সোনাগাজী, দাঁগনভূঞাতে বন্যা পরিস্থিতি রোববার অবনতির দিকে থাকলেও সারা দিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে।
বন্যাদুর্গত এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্ধার তৎপরতা উল্লেখযোগ্য হারে লক্ষ্য করা গেছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্যার্তদের উদ্ধার এবং শুকনো খাবার সহায়তায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্র জানায়, রোববার পর্যন্ত নগদ ৪০ লাখ টাকা এবং দুই হাজার টন চাল ত্রাণ কার্যের জন্য বরাদ্দ এসেছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খিচুড়ী ও শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলার কিছু কিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ এখনো দুই-তৃতীয়াংশ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন পানিবাহিত রোগে৷ এই মুহূর্তে ফেনীতে খাদ্য, পানি ও ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে৷ এসব বিষয় জরুরী ভাবে ব্যবস্থা না হলে এখানে গুরুতর মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।
-এটি