For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

দাকোপে হাজারো জেলে পরিবারে হতাশা

Published : Sunday, 25 August, 2024 at 2:41 PM Count : 68

খুলনাদাকোপে ভরা মৌসুমেও নদীতে দেখা মিলছে না জাতীয় মাছ ইলিশের। এতে একদিকে এলাকার জনসাধারণ রূপালী ইলিশের স্বাদ ভুলতে বসেছেন। আবার অন্যদিকে বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন উপজেলার হাজারো জেলে পরিবার। 

উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পৃথক তিনটি দ্বীপের সমন্বয় গঠিত এই উপজেলা। এর চারপাশে নদী দিয়ে পরিবেষ্টিত। এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ এক সময় মৎস্য আহরণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আর এ মৎস্য আহরণের অভয়ারণ্য ছিল উপজেলার উল্লেখযোগ্য ঢাকী, ভদ্রা, শিবসা, কাজীবাছা, মাঙ্গা, পশুর ও ঝপঝপিয়া নদী। বর্তমানে বিভিন্ন এলাকার প্রায় হাজারো জেলে পরিবার এই পেশার উপর নির্ভরশীল। 

এসব জেলেরা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ ও মহাজনের দাদন নিয়ে জাল নৌকা কিনে অনেকে নদীতে নেমেছেন। কিন্তু দিন-রাত নদীতে জাল ফেলেও ইলিশ না পেয়ে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এমনকি ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা পাচ্ছেন না জেলেরা। যে কারণে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারেও ক্রেতাদের ইলিশের দেখা মিলছে খুব কম। মাঝে মধ্যে দুই/একজন জেলের জালে দুই একটি মাছ ধরা পড়লেও বাজারে তার দাম অনেক বেশি। যা সাধারণ মানুষ কিনে খেতে পারছেন না। 

এনজিও'র ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় তাদের সাথে প্রায়ই বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন জেলেরা। মাঝে মধ্যে আবার আত্মগোপন করেও থাকতে হচ্ছে অনেক জেলেকে। অন্য কোনো আয়ের উৎস্য না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন জেলেরা। জেলেদের পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। 
আবার সাধারণ মানুষও রূপালী ইলিশ মাছের স্বাদ প্রায় ভুলতে বসেছেন। 

এদিকে, দীর্ঘদিন ইলিশের দেখা না পেয়ে ইতিমধ্যে এ পেশা ছেড়ে কেউ কেউ আবার অন্য পেশা শুরু করেছেন। সরকার সহজ শর্তে ঋণ দিলে তাদের কিছুটা মাথা গোজার ঠাঁই হতো বলে জানান জেলেরা।
 
উপজেলার চালনা এলাকার জেলে নারায়ণ মন্ডল জানান, তার একমাত্র পেশা ইলিশ মাছ ধরা। চলতি মৌসুমে মহাজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাদন নিয়ে জাল এবং নৌকা কিনেছেন। কিন্তু ভরা মৌসুমেও নদীতে দিন-রাত জাল ফেলে ইলিশ মাছের দেখা না পেয়ে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এতে অভাব-অনটনে তাদের চারটি পরিবার অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।

বাজার করতে আসা সমরেশ বিশ্বাস জানান, স্থানীয় নদীর ইলিশের স্বাদ বেশি বিধায় মাছ কিনতে এসেছেন। কিন্তু বাজারে দুই/একটা মাছ আসায় দাম অত্যন্ত চড়া। সবার পক্ষে এতো দামে মাছ কিনে খাওয়া সম্ভব না। তাই মাছ না কিনে তারা নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। 

চালনা বৌমার গাছতলার মাছ বাজারের ব্যবসায়ী হালিম শেখ জানান, স্থানীয় নদীর ইলিশ তেমন একটা বাজারে আসছে না। যা দুই/একটা আসছে তা এক কেজি ওজনের মাছ ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর ছোটগুলো ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা বিক্রি করছেন। এছাড়া ঝাঁটকা বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দামে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রণজিত কুমার জানান, এখন তো নদীতে জেলেদের জালে দুই একটা ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। আগামী দুই/এক সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় নদীতে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ ধরা পড়বে। তাছাড়া বৃষ্টি কম এবং স্থানীয় নদীতে পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় ও নদীর মুখে বিভিন্ন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় মাছ উঠতে একটু দেরি হয়।   

জেআর/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,