ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের স্মরণে বিইউতে আলোচনা সভা
Published : Sunday, 18 August, 2024 at 7:22 PM Count : 222
দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে (বিইউ) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকালে ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীবরতা পালন করা হয়। এছাড়া নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার ব্রি. জে. মো: মাহবুবুল হক (অব), অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো: তাজুল ইসলাম, স্থাপত্য বিভাগের প্রধান খন্দকার তরিকুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সমন্বয়ক তাসনিম-ই-জান্নাত সিদ্দিকী, জাহিদুল ইসলাম হিমু এবং আন্দোলনে নিহত সৈকতের বোন বিইউ’র ইংরেজী বিভাগের ছাত্রী সাবরিনা সেবন্তি আফরোজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কারের সূত্র ধরে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে বিশাল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আন্দোলনের শুরু থেকে আমাদের ছাত্রসমাজ নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, তাই স্বৈরাচার সরকার পতনের এই বিজয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এই বিপ্লবের সকল শহীদকে।
আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে সমন্বায়ক তাসনিম-ই- জান্নাত সিদ্দিকী বলেন, আমাদের আন্দোলন ছিলো একটি সফল সামাজিক আন্দোলন, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার পরিবার থেকে ছাত্ররা এর সঙ্গে সংযুক্ত হন। প্রথম দিকে সবাই কোটা আন্দোলনে যোগদান না করলেও অনেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এ আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন এবং আন্দোলনকে নিজের প্রতিনিধি হিসেবে ভাবতে শুরু করেন। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল সরকারের কোটা নীতির সংস্কার। এ অর্থে আন্দোলনটির রাজনৈতিক তাৎপর্য অনস্বীকার্য।
আন্দোলনে বিইউ’র অন্যতম সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম হিমু বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অপূরণীয় ক্ষতি হলো ছাত্র-জনতার ব্যাপক প্রাণহানি। আমরা যখন বিজয় উদযাপন করছি তখনো আমাদের হৃদয় অনেক ভারাক্রান্ত। বুক পেতে দেয়া সাঈদের মত ছাত্র-জনতাসহ ছোট ছোট নিষ্পাপ শিশুর কথা মনে পড়ছে যারা বাসায়, বারান্দায় আর বাড়ির উঠানে শহীদ হয়েছেন, তাদের আর আমরা ফিরিয়ে আনতে পারবো না।
এছাড়া, আন্দোলনে নিহত সৈকতের স্মৃতিচারণ করেন তার বোন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ইংরেজী বিভাগের ছাত্রী সাবরিনা সেবন্তি আফরোজ। তিনি তার ভাইসহ আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের হত্যাকারী পুলিশের শাস্তির দাবিতে দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সর্বস্তরের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
-এমএ