সাদুল্লাপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ
Published : Monday, 12 August, 2024 at 5:24 PM Count : 116
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মিরপুর কাচারী বাজারে দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে। স্থানীয় গোলাম রব্বানী জুয়েল গংদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। সম্প্রতি এই ঘটনায় হামলাকারী জুয়েল তার দলবল নিয়ে এখনো উত্তেজনা করছে বলে জানা গেছে। তারা যেন কোন মুহূর্তে আবারও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। এ শঙ্কায় ভুক্তভোগি নুরুল হুদা মন্ডল শরিফুল ও আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন বলে জানালেন তারা।
সোমবার দুপুরের দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে নুরুল হুদা মন্ডল শরিফুল ও আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন স্থানীয় মিরপুর কাচারী বাজারে ক্রয়কৃত জমির উপর দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ-সার-কীটনাশক ব্যবসা করে আসছেন। এরই মধ্যে রসুলপুর ইউনিয়নের বড় দাউদপুর গ্রামের আশরাফুজ্জামান সরকারের ছেলে গোলাম রব্বানী জুয়েল গংরা শরিফুল ও সুমনের ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জায়গা জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করে আসছিলেন। এরই একপর্যায়ে গত ৬ আগস্ট সন্ধ্যার পর পরিকল্পিতভাবে গোলাম রব্বানী জুয়েল তার দলবল নিয়ে শরিফুল ও সুমনের ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে মারপিট করতে থাকেন। এ অবস্থায় নগদ টাকাসহ দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সেই সাথে ওষুধসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং দোকানের পেছনের প্রাচীর ভাঙচুর করেছে হামলাকারীরা।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ভোক্তভোগি নুরুল হুদা মন্ডল শরিফুল বলেন, জুয়েল গংরা আমাদের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। এসময় আড়াই লাখ টাকাসহ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। সবমিলে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই হামলাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোলাম রব্বানী জুয়েলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মিরপুর বাজারের ব্যবসায়ী মাহফুজার রহমান বলেন, জুয়েল গংরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। এ ঘটনা থামাতে গিয়ে আমিও আহত হয়েছি।
স্থানীয় ব্যক্তি ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সেলিম চৌধুরী বলেন, একটি দলীয় মিছিল থেকে জুয়েল ও সুজনসহ আরও অনেকে ওই দোকানে হামলা করেছেন।
এদিকে ফরিদপুর ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম লাল চান বলেন, ঘটনাস্থলের জমিটি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে হামলা করেছে জুয়েল গংরা।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ওইস্থানে হামলার ঘটনাটি আমার জানা নেই। এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
টিএইচজে/ এসআর