রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দু'জনই পুরুষ। তাদের মধ্যে একজন অটোচালক, অপরজন ফার্নিচার শ্রমিক বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তাদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, সকালে কোটা আন্দোলনকারীরা মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় তাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির হিসেবে জড়ো হতে থাকে। এ সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ ও ছাত্রলীগ যৌথ ভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই দু'জন নিহত হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, তাদের নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। জরুরি বিভাগে ২০ জনের বেশি আহত মানুষ এসেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, হতাহতের সংখ্যা এখনো বলতে পারছি না। তবে, পুলিশ কোনো গুলি চালায়নি।
এ রিপোর্ট লেখার সময় কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করে আজ থেকে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
-এমএইচ/এমএ