নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার ১২
Published : Thursday, 25 July, 2024 at 5:55 PM Count : 93
সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সরকার পতনের ষড়যন্ত্র, ভাঙচুর, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার পরিকল্পনাসহ দেশদ্রোহীতার অভিযোগে
বাউফলে জামায়াত-বিএনপির ১২জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
গত ৫দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে রাজধানী ঢাকায় সহিংস ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক সহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বাউফলের নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীতে কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় বাউফলের চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শান্তিবাগ এলাকায় বাউফল উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নবীন তালুকদার গুলিবিদ্ধ হন, ধুলিয়া ইউনিয়নের মোসারেফ হাওলাদারের ছেলে ঢাকা টাইমসের নিজস্ব প্রতিবেদক মো. হাসান মেহেদী পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যাত্রাবাড়ি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। মদনপুরা ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৮) ও কেশবপুর ইউনিয়নের আল-আমিন (১৫) সহিংসতার সময় গুলিবিদ্ধ হন। এরা সকলেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এদিকে সহিংসতা উস্কে দেওয়া, নাশকতার চেষ্টাসহ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাউফল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামুয়েল আহমেদ লেলিন, আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির শের আলী আকন, সূর্যমণি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাহবুব আলম তালুকদার, যুবদল নেতা হাজী রুবেল, মোসরালিন, কামাল হোসেন, বাবু এবং সামসুল আলমসহ মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, নিহতদের লাশ পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে। বাউফলের জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। যারা কোটা আন্দোলনের নামে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিলেন তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলমান রয়েছে।
এএস/এসআর