For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

চাকশ্রী-গিলেতলা সড়কে খানাখন্দে জনদুর্ভোগ

Published : Monday, 15 July, 2024 at 6:31 PM Count : 77



বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার চাকশ্রী-গিলেতলা ব্যস্ততম সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তে পানি জমে যেন কাঁদা মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয়রা। ফলে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।

গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে গিলেতলা, খানপুর, চাকশ্রী, বাইনতলা এলাকার অন্তত অর্ধশত গ্রামের মানুষ খুলনা, রামপাল, মোংলা, ফয়লা, ভাগাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। এ সড়কের আসপাশে অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কয়েকটি বড় বাজার রয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ এ সড়কটি যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন।
        
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার চাকশ্রী থেকে গিলেতলা পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সাড়ে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে যায়। সড়কের উপরের পিচ উঠে অনেক জায়গায় কাঁদা জমে আছে। সড়কের চাকশ্রী এ বি সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে, একুববারিয়া, বাইনতলা নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসা এলাকাসহ অন্তত ১৩টি স্থান দেবে গেছে। এসব জায়গায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয়রা।
এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ইজিবাইক চালক মো. আল আমিন জানান, ‘রাস্তার যে বেহাল দশা, তাতে চলাচল করা খুবই কষ্ট। কয়েকদিনে দুইবার আমার ইজিবাইক উল্টে গেছে। যাত্রীসহ আমি আহত হয়েছি। চাকশ্রী এ বি সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু হানিফ বলেন, ‘দুই কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। কোন যানবাহন পাওয়া যায় না ভাঙা রাস্তার জন্য। বৃষ্টির সময় কয়েকবার গর্তের মধ্যে পড়ে গেছি। আমার বন্ধুরাও আহত হয়েছে।’

বাসচালক ওমর ফারুক বলেন, ‘চাকশ্রী থেকে গিলেতলা মাত্র সাড়ে ৫ কিলোমিটার পথ যেতে স্বাভাবিকভাবে ২০ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু খানাখন্দের কারণে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হয়। আমাদের গাড়ির বেশ ক্ষতি হয়।’

আলম শেখ নামে এক বৃদ্ধ আক্ষেপ করে বলেন, ‘২ থেকে ৩ বছর ধরে রাস্তাটি খুব খারাপ হয়েছে, এখন চলাচল করা যায় না। বাস চলতে পারে না। মানুষজন অসুস্থ হলে হাসপাতালেও নেয়া যায় না।’

রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহ জানান, ‘তিন বছরের বেশি সময় ধরে রাস্তাটির বেহাল দশা। সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য নিজের পকেটের টাকা দিয়ে খানাখন্দে ইট দিয়েছি, কিন্তু এখন আর দেয়ার মতো জায়গা নেই। সব জায়গায় খারাপ অবস্থা। এখনই যদি এই সড়ক সংস্কার না করা হয়, তাহলে রাস্তা দিয়ে আর মানুষ যাতায়াত করতে পারবে না।

রামপাল উপজেলার প্রকৌশলী গোলজার হোসেন জানান, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাড়ে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির ৩ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।’ সড়কের বাকি কাজ আগামী অর্থবছরে করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এসএমএসআইকে/এসআর                                                                       
           

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,