সাংবাদিক নাদিম হত্যা, সাবেক চেয়ারম্যান বাবু জামিনে মুক্ত
Published : Thursday, 11 July, 2024 at 10:25 AM Count : 76
জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি, একাত্তর টিভি ও বাংলানিউজের সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম ওরফে বাবু চেয়ারম্যান (বরখাস্তকৃত) জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
বুধবার বিকেল ৫টার দিকে জামালপুর জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন। জেল গেটে তার পরিবার ও কয়েকজন সমর্থক তাকে গ্রহণ করতে যান।
এদিকে, হত্যাকারী জামিনে বের হওয়ায় সাংবাদিক নাদিমের পরিবারে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাত্তাহ্ জানান, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে হাইকোর্ট স্থায়ী জামিন দিয়েছেন। হাইকোর্টের আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছানোর পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও আপিল বিভাগে তা স্থগিত হয়ে যায়। পরে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে গত ৩০ জুন হাইকোর্টের বেঞ্চে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি হয়। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে তার জামিনের চূড়ান্ত আদেশ দেন।
আদালতে এ দিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ জগলুল কবির।
মামলা সূত্র জানায়, গত বছরের ১৪ জুন রাতে পেশাগত কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাংবাদিক নাদিম বকশিগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় বাবু চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। পর দিন ১৫ জুন তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে মারা যান।
১৭ জুন নিহত নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদি হয়ে মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
পরে পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকা থেকে বাবুকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। ওইদিন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং ডিরেক্টর কমান্ডার খন্দকার আল মঈন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। বাবু চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অসঙ্গতির প্রতিবেদন নাদিম করায় তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
এদিকে, মাহমুদুল আলম বাবু রিমান্ড শেষে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জামালপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী জানান।
প্রধান আসামি বাবু গ্রেপ্তার ও সর্বশেষ জামিনে মুক্ত হলেও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তার ছেলে রিফাত এক বছরেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করলেও অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে বাদির পরিবারে।
জেডজে/এমএ