গাইবান্ধার খামারীদের ভেসে গেছে ৫ কোটি টাকার মাছ
Published : Wednesday, 10 July, 2024 at 6:21 PM Count : 79
গাইবান্ধার চারটি উপজেলায় চলমান রয়েছে বন্যা। এসময় প্লাবিত হয়ে মৎস্য চাষিদের ৪৫৭ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে- পুকুরের অবকাঠামো, পোনা ও মাছ।
বুধবার (১০ জুলাই) গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই দফতরটির হিসাব রক্ষক মো. সুজাউল সরকার জানায়, বন্যা কবিলত গাইবান্ধার সদর, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৩৪৭ জন মৎস্যচাষি ক্ষতির শিকার হয়েছে। তাদের ৯৬ দশমিক ৪৭ হেক্টর আয়তনের ৪৫৭ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এসব মাছের ওজন প্রায় ৩৪ হাজার ৪০৯ মেট্রিকটন। এর মধ্যে ৪ কোটি ৬৩ লাখ ২২ হাজার টাকা মূল্যের বড় মাছ, ২৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকার পোনামাছ ও ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের অবকাঠামো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার মৎস্য খামারীরা বানিজ্যিকভাবে মাছচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এরই মধ্যে বন্যায় শত শত পুকুর প্লাবিত হয়ে ভেসে গেছে তাদের আগামীর স্বপ্ন। এ কারণে নানান দুশ্চিন্তায় পড়ছেন তারা। এখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন এই চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি নজরুল ইসলাম বলেন, লাভের আশায় বিভিন্ন ঋণদান প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে দুইটি পুকুরে মাছচাষ শুরু করছিলাম। সেই মাছগুলো অনেকটা বড় হয়েছিল। এরই মধ্যে রাক্ষুসি বন্যায় সব মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ৭ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
গোলজার রহমান নামের আরেক খামারী বলেন, বন্যায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের পোনা ও মাছের ক্ষতি হয়েছে। এখন পথে বসার অবস্থায়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারি সহায়তা এ সহজ শর্তে ঋণের দাবি করছি।
গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মারজান সরকার জানান, চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপণ করা হচ্ছে। তাদের প্রণোদনার দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
টিএইচজে/এসআর