বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
Published : Tuesday, 9 July, 2024 at 3:07 PM Count : 264
বোরো মৌসুম শেষ হয়েছে। আসছে আমন মৌসুম। তাই দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কৃষকরা চারা বীজতলার পাশাপাশি বলান বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বলান চারার বৈশিষ্ট্য হলো রোপণ করা একেকটি চারা থেকে কুশি বের হয়ে অসংখ্য চারা গজায়। এটাই স্থানীয় ভাবে বলান চারা নামে পরিচিত।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, আমন মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করবে। ইতিমধ্যে আমন চাষীরা আমন চারা বীজতলার পাশাপাশি বলান পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি শুরু করছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ রফিকুজ্জামান জানান, এ উপজেলায় কৃষকরা বলান পদ্ধতিতে চারা তৈরির উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের মাঝে বলান পদ্ধতিতে চারা তৈরির উপকারিতা সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণাও চালাচ্ছে। এ পদ্ধতিতে চারা তৈরি করলে অনেক সাশ্রয়ী হবে। এছাড়া বলান পদ্ধতিতে চারায় রোগবালাই কম হয়। গাছ বেশি লম্বা হয় না ফলে অতিবৃষ্টি বা ঝড়ে ধানের গাছ সহজেই জমিতে হেলিয়ে পড়ে না।
তার ভাষ্য মতে, বীজতলায় ৩০ দিন বীজ চারা রাখার পর এ চারা তুলে অন্য কোনো জমিতে রোপণ করে রাখা হয়। সেখান থেকে ২০ থেকে ২৫ দিন পর আবার মূল জমিতে বলান পদ্ধতির চারা রোপণ করা হয়। বলান পদ্ধতিতে চারা রোপণ করলে প্রতি ৩৩ শতাংশ জমিতে ২ থেকে ৩ মণ ধান বেশি উৎপন্ন হয়। বলান পদ্ধতিতে ১ শতক জমির চারা প্রায় ২৪ থেকে ২৫ শতক জমিতে চারা রোপণ করা যায়। মূল বীজতলার বয়স ৩৫ দিন পেরোলেই সেই চারার ফলন ভালো হয় না। কিন্তু বলান চারার বয়স ৫০ থেকে ৫৫ দিন পেরোলেও ফলন ভালো হয়।
উপজেলার পাটশাঁও মাঠে কৃষকদের বলান পদ্ধতিতে চারা রোপণ করতে দেখা যায়। কথা হয় কৃষক আব্দুল মজিদের সাথে। তিনি জানান, তারা প্রতি বছর এ পদ্ধতিতে চারা তৈরি করে জমি রোপণ করে থাকে। চলতি মৌসুমেও তারা বলান চারা তৈরির জন্য চারা রোপণ করছেন। তারা ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর চারাগুলো তুলে মূল জমিতে লাগাবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান, উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বলান পদ্ধতিতে জমি রোপণ করা হবে। ইতিমধ্যে কৃষকরা বলান পদ্ধতিতে চারা রোপণ শুরু করেছেন। তবে এ পদ্ধতি কৃষকদের নিজস্ব উদ্ভাবন। এ পদ্ধতি প্রসার লাভ করা দরকার।
জেআর/এমএ
