নাগেশ্বরীতে বন্যায় ৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ
Published : Sunday, 7 July, 2024 at 5:21 PM Count : 668
নাগেশ্বরীতে দ্বিতীয়দফা চলমান বন্যায় ৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্টানের পাঠদান ও সান্মাষিক সামষ্টিক মুল্যায়ন পরীক্ষা ১০ জুলাই পর্যন্ত সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার অবনতির সাথে সাথে এর সংখ্যা ও সময়কাল আরো বাড়তে পারে।
ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্যানিয়ন্ত্রণ ও ভেরীবাঁধ ভেঙ্গে বন্যায় তলিয়ে গেছে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৩,৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার ঘর-বাড়ী, রাস্তা-ঘাট। পানি ঢুকে পড়েছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামান্য জেগে থাকলেও চারিদকে অথৈ পানি। চলাচলের রাস্তায় পানি প্রবাহিত হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্টানে যাওয়া কষ্টকর। এছাড়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাড়ীতে পানি উঠায় তারা অবরুদ্ধ। কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্লাড সেন্টার হিসেবে বানভাসীদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ফলে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বন্ধ থাকবে নিয়মিত পাঠদান ও সান্মাষিক সামষ্টিক মুল্যায়ণ পরীক্ষা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ২টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩২ টি, মাদ্রাসা ৯টি ও ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, বন্যা আক্রান্ত হওয়ায় বর্নাত্য এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক বন্ধ দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১০ জুলাইয়ের পর স্কুল খুলতে অথবা বন্ধ আরো বাড়তে পারে। একই কথা বলেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান।
এদিকে অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে। বামনডাঙ্গার মিয়াপাড়ায় ভেরীবাঁধ ভেঙ্গে, তেলিয়ানীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপছে ও কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদারে এলজিইডি ক্ষুদ্র ব্যাবস্থাপনা প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে তীব্র স্রোতে লোকালয়ে ঢুকে নতুন করে প্লাবিত করছে গ্রামের পর গ্রাম। তলিয়ে যাচ্ছে ঘর-বাড়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে বন্যা। ধারনা করা হচ্ছে এতে করে বন্যা আক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। বৃদ্ধি পেতে পারে বন্ধের সময়কাল।
কেএসবি/এসআর