ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে, তিস্তায় কাছাকাছি
Published : Sunday, 7 July, 2024 at 1:35 PM Count : 109
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে দেশের উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীগুলোতে পানি বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় লালমনিরহাট জেলাও বন্যার কবলে পড়েছে। যদি এর মধ্যে ভারী বর্ষণ হয় এবং দেশের নদী অববাহিকায় অবস্থিত বন্যাকবলিত জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তবে লালমনিরহাট জেলার অপেক্ষাকৃত নিম্নাঞ্চলগুলোতে প্লাবিত হয়ে স্বল্প কিংবা দীর্ঘমেয়াদী বন্যা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেয়া তথ্য অনুসারে, ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে আর তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে।
পাউবো জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ধরলা নদীর পানি পাটগ্রাম পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭০ সে. মি. নিচে প্রবাহিত হলেও শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সে. মি. উপরে প্রবাহিত হয়। শিমুলবাড়ি পয়েন্টে রোববার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ১৬ সে. মি., সকাল ৯টায় ১৮ সে. মি. এবং বেলা ১২টায় বিপদসীমার ৩৯ সে. মি. উপরে প্রবাহিত হয়।
এদিকে, তিস্তার পানি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১২ সে. মি. নিচে, রোববার সকাল ৬টায় ১৩ সে. মি. নিচে, সকাল ৯টায় ১৩ সে. মি. নিচে এবং বেলা ১২টায় ২৪ সে. মি. নিচে প্রবাহিত হয়। আর কাউনিয়া পয়েন্টে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ২১ সে. মি. নিচে, রোববার সকাল ৬টায় ১৩ সে. মি. নিচে, সকাল ৯টায় ১১ সে. মি. নিচে এবং বেলা ১২টায় ১১ সে. মি. নিচে রেকর্ড করা হয়। ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে থাকায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে ফসলি ক্ষেত ও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।
অপরদিকে, তিস্তা অববাহিকার লালমনিরহাট জেলার অন্তত ১৫টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, গড্ডিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নগুলোর কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, এই পানি আগামী দু-একদিন স্থীতিশীল থাকতে পারে।
-এমএস/এমএ