For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

কমছে পানি ভাঙছে নদী

Published : Thursday, 27 June, 2024 at 9:00 PM Count : 70

গত কয়েকদিন আগে ভারী বর্ষণে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ঘাঘট নদীতে পানি বৃদ্ধি হয়েছিল। সম্প্রতি এই পানি কমতে শুরু করছে। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এর ফলে নদীর তীরবর্তী মানুষ হারাচ্ছে ফসলি জমি ও বাস্তুভিটা। বাঁধসহ হুমকিতে পড়ছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি। এ নিয়ে ভুক্তভোগিদের কাটছে নির্ঘুম রাত।    

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সরেজমিনে গিয়ে গেছে, উপজেলার জামালপুর ও দামোদরপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নদী ভাঙনের চিত্র। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিতে  থাকা মানুষদের মুখে শোনা গেল ভাঙনরোধের নানা দাবি-দাওয়ার কথা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলাধীন প্রায় ২৬ কিলোমিটার বয়ে গেছে ঘাঘট নদীটি। বনগ্রামের টুনিরচর থেকে শুরু হয়ে নলডাঙ্গার শ্রীরামপুর গিয়ে মিঠাপুকুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীমানায় ঠেকেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতে কয়েক যুগেও ঘাঘট নদীশাসন না করায় জামালপুরের চকদাড়িয়া-পাতিল্যাকুড়া (সাতঘটিপাড়া), কল্যাণপুর, হামিন্দপুর (ঘোষপাড়া), দামোদরপুরের সীট জামুডাঙ্গা (মুন্সিপাড়া), পাটনীপাড়াসহ আরো বেশ কিছু স্থানে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এসব এলাকায় বসবাসরত পরিবারদের ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে। ইতোপুর্বে এই নদীর করাল গ্রাসে অনেক পরিবারে হারিয়েছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক নিম্ম আয়ের মানুষ বাস্তুভিটা হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে। প্রতি বছরের বন্যা আর নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অনেকে। কেউ কেউ মাথা গোজার ঠাঁই হারিয়ে পথে বসেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সবুজ মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, ভাঙনরোধে সরকারিভাবে নেওয়া হচ্ছে না পদক্ষেপ। কোন কোন স্থানে জিও ব্যাগ স্থাপন করা হলেও তা টিকসই হচ্ছে না। 
সীট জামুডাঙ্গা (মুন্সিপাড়া) এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে এই স্থানে প্রায় ২০ পরিবার হারিয়েছে বসতভিটা ও আবাদী জমি। এখন হুমকির মুখে রয়েছে বেশকিছু বাড়ি। অব্যাহত ভাঙনে যে কোন মুহূর্তে বিলীন হতে পারে এ পাড়াটি। এখানে ভাঙন রোধে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সহায়-সম্বল হারিয়ে অনেকে পথে বসতে পারে। 
 
এ বিষয়ে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ (কাওছার মন্ডল) বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে বিষয়টি এমপি মহোদয়কে অবগত করবো।  

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ওইসব এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙনরোধে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। 

এসআর



« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,