যুবককে গাছে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
Published : Friday, 21 June, 2024 at 4:05 PM Count : 508
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় শামীম কবির (৩৩) নামের এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেধে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা জরুরিসেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল দিলে নির্যাতনের শিকার এই যুবককে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ দূর্গাপুর গ্রামে। নির্যাতনের শিকার ওই যুবক এই গ্রামের ছইর উদ্দিনের ছেলে।
শুক্রবার সকালের দিকে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শামীম কবির কবিরাজী পেশায় নিয়োজিত আছেন। এ লক্ষ্যে সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৬ টার দিকে শামীম কবির পাশ্ববর্তী চালুনদহ ব্রিজের দক্ষিণের একটি শ্বশান ঘাটিতে যায়। সেখান থেকে ওষুধি গাছ সংগ্রহ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এরই মধ্যে পুর্ব শত্রুতার জেরে দক্ষিণ দূর্গাপুর গ্রামের ওমর আলী ও তার ছেলে রাকিবুল ইসলাম শাহীন, তোফাজ্জল আলী এবং তার ছেলে নাজমুল শেখসহ তাদের পরিবারের আরও অনেকে শামীম কবিরের পথরোধ করেন। এরপর লাঠি-রড দিয়ে বেধরক মারপিট করতে থাকেন। তার পরও ক্ষান্ত নয়, পরে গাছের সঙ্গে বেধে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে শামীমকে পিটিয়ে যখম এবং প্লাচ ও ব্লেড দিয়ে হাত-পায়ের বিভিন্ন স্থানে কেটে রক্তাক্ত করে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের উপরেও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নির্যাতনকারীরা। বাধ্য হয়ে সরকারের জরুরিসেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শামীম কবিরকে উদ্ধার করেছে। পরে গুরুতর আহত শামীমকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে শামীমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক।
এ বিষয়ে নির্যাতনের শিকার শামীম কবিরের পিতা ছইর উদ্দিন বলেন, ছেলেটির শারিরীক অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় নির্যাতনকারীরা আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। এ নিয়ে সাদুল্লাপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হলেও সেটি এখনো আমলে নেয়নি পুলিশ। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি করছি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তোফাজ্জল আলী বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের চেষ্টায় শামীম কবিরকে আটক করে মারপিট করা হয়েছে।
সাদুল্লাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু কামাল জানান, ওই ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এ সংক্রান্ত অভিযোগ কিংবা মামলা হয়েছে কিনা সেটি জানা নেই তার।
টিএইচজে/এসআর