For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

সভাপতির গরু দেরিতে জবাই করায় মার খেলেন ইমাম, হারালেন চাকরিও

Published : Tuesday, 18 June, 2024 at 9:44 AM Count : 217

গাজীপুরেশ্রীপুরে মসজিদ কমিটির সভাপতির কোরবানির গরু দেরিতে জবাই করায় মারধরের শিকার হয়েছেন মসজিদের দায়িত্বরত ইমাম। সভাপতি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ইমামকে করেছেন চাকরিচ্যুতও।

সোমবার সকালে ১০টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদে এমন ঘটনা ঘটে।

সভাপতির এমন অমানবিক স্বেচ্ছাচারিতা কর্মকাণ্ডের জন্য নিন্দা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমামের চাকরি বহাল করার দাবিও জানান তারা।

অভিযুক্ত কফিল উদ্দীন শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদের সভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ঈদের নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠ থেকে মুসল্লিরা বাড়ি ফিরে কোরবারির পশু জবাইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় বেশ কজন মুসল্লি তাদের পশু জবাই করার জন্য ঈমামের সাহায্যে চান। এরপর এক মুসল্লির গরু জবাইয়ের জন্য গেলে মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীন তার কোরবানির পশু (গরু) জবাইয়ের জন্য ইমামকে ফোন দেন। এ সময় ইমাম পাশের আরেক বাড়ির পশু জবাই করে আসছেন বলে জানালে ক্ষীপ্ত হন তিনি। পরে ইমাম সভাপতির গরু জবাই করতে তার কাছে গেলে তিনি (সভাপতি) রেগে গিয়ে মারধর শুরু করেন ইমামকে। এ সময় আশপাশের অন্যরা এগিয়ে এসে ইমামকে উদ্ধার করেন।

মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানির প্রস্তুতির একপর্যায় পাশের ইদ্রিস আলীর কোরবানির পশু (গরু) জবাইয়ের জন্য ডাকলে সেখানে চলে যাই। এ সময় সভাপতি সাহেব ফোন করেন তার গরু জবাই করতে। একটু দেরি করে তার কাছে আসলে তিনি ক্ষিপ্ত হন ও তার অনুমতি ছাড়া অন্য গরু জবাই করার অপরাধে আমাকে গালমন্দ করেন। আমার শরীরেও হাত তোলেন।

তিনি বলেন, আমাকে চাকরি ছাড়তে বলা হয়েছে। কিন্তু আমি এখন নিজে থেকেই চাকরি ছেড়ে দেবো। আমাকে মারধরের বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েছি।

ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল আমীন জানান, আমি এমন একটি বিষয় (মারধরের) শুনেছি। তবে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।

ওই সমাজের সদস্য ইদ্রিস আলী বলেন, আমার গরু কোরবানির সময় ফোন দেন সভাপতি। পরে গেলে একটা ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। আমরা সবাই মিলে মীমাংসা করব বিষয়টি।

মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীনের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে সংবাদ কর্মী পরিচয় দিলে তিনি ফোন কেটে দেন। এর পর একাধিকবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মণ্ডল বলেন, নামাজের পরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে ইমাম আমার কাছে এ বিষয়ে বিচার দিয়েছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ঈদের দিন ইমামকে মারধর করা একটা জঘন্য কাজ। এমন ন্যাক্কারজনক কাজের জন্য উপযুক্ত আইনগত শাস্তি পাওয়া উচিত।

শ্রীপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) সুজন কুমার পণ্ডিত বলেন, এমন কোনো খবর আমাদের জানা নেই। তবে এমন বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

-এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,