For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

কালীগঞ্জে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি

Published : Sunday, 9 June, 2024 at 5:02 PM Count : 110

গাজীপুরেকালীগঞ্জে গত কয়েক বছর ধরে স্থবির হয়ে পড়েছিল জমি কেনা-বেচা। আর এর কারণ ছিল জমি হস্তান্তর উৎস কর সংক্রান্ত জটিলতা। অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারউজ্জামানের হস্তক্ষেপে নিরসন হলো জমি হস্তান্তর উৎস কর সংক্রান্ত জটিলতার। এ বছরের পহেলা জুলাই থেকে কাটা প্রতি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণে কার্যকর করা হবে। এ খবরে স্থানীয় জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। 

জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, আয়কর আইন ২০২৩ এর ১২৫ ধারায় গেল বছরের অক্টোবরে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা-উপজেলার জমিকে ৫টি শ্রেণিতে ভাগ করে নাল জমির কাঠা প্রতি উৎস কর নূন্যতম ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরে জাতীয়ভাবে আইনটি সংশোধনের দাবি তোলা হলে ওই বছরেরই নভেম্বরে কিছু কিছু জায়গায় উৎস কর কমানো হয়। এর মধ্যে ছিল গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলাও। যা পরে ৫০ হাজারে নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু তাতেও ভোগান্তি কমছিল না স্থানীয়দের। উৎস কর আরো নিচে নামিয়ে আনা ছিল কালীগঞ্জবাসীর সময়ের দাবি। 

সূত্র আরো জানায়, উৎসকর বৃদ্ধির পর থেকে প্রায় ৮ মাস ধরে এভাবেই চলতে থাকে কালীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের কার্যক্রম। এতে প্রায় ২ সহস্রাধীক সাব-কবলা দলিল কম হয়েছে। তাছাড়া বাড়তে থাকে আম-মোক্তারনামা, হেবা, বিলএওয়াজ হেবা, দানপত্র দলিল রেজিষ্ট্রি। ফলে সরকার হারাতে থাকে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব। এভাবে চলতে থাকলে মুখ থুবড়ে পড়তো রাজস্ব সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্মকান্ড। অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল জমি কেনা-বেচা সংশিষ্ট সকলেই।

স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন আবাসনের বালির নিচে পরে তাদের কৃষকের জমি। এদিকে উৎস কর বাড়ানোর কারণে তাদের জমি বিক্রি করতেও পারছেন না আবার চাষাবাদও করতে পারছেন না। ফলে হজে গমন, চিকিৎসা সেবা, ছেলে-মেয়ের উচ্চ শিক্ষা, বিয়ে কিংবা বিদেশে পাঠানোর মতো বিশেষ প্রয়োজনেও জমি বিক্রি করতে না পারায় জমি ছিল কৃষকের গলার কাঁটা। দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। 
কালীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রিটার জাহিদুর রহমান বলেন, জমি রেজিষ্ট্রি কম হওয়ায় কমেছে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের আয়। তাই ব্যহত হচ্ছিল অবকাঠামোগত উন্নয়ন। সেই সাথে বিপাকে পড়েছিল ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরাও। উৎস কর আইন সংশোধনের দাবী ছিল স্থানীয় সর্বমহলে। প্রথম দফায় তা অর্ধেকে নেমে আসলেও তা কাজে আসছিল না। অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারউজ্জামানের হস্তক্ষেপে নিরসন হলো জমি হস্তান্তর উৎস কর সংক্রান্ত জটিলতার। এ বছরের পহেলা জুলাই থেকে কাটা প্রতি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণে কার্যকর করা হবে। এতে স্থানীয় জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে বলেও জানান তিনি। 

এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারউজ্জামান এমপি বলেন, স্থানীয় মানুষের জমি হস্তান্তরে উৎস কর সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের বিষয়টি উল্লেখ করে এ বছরের ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে বক্তব্য প্রদান করি। পরে ১২ মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে ডিও লেটার প্রদান করা হয়। যার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাইপূর্বক জমির উৎস কর পুন:নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২৯ মে এটি একটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। বিশ্বাস করি সিদ্ধান্তটি খুব দ্রুতই কার্যকর হবে এবং সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে ভূমিকা রাখবে।

আরএস/এসআর

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,