মনপুরায় নিম্নাঞ্চল জোয়ারে প্লাবিত, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ
Published : Sunday, 26 May, 2024 at 9:28 PM Count : 180
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলায় ঘূর্ণীঝড়ের প্রভাবে মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে মূল ভূ-খন্ডের বেড়ীর বাহিরের নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে ২-৩ ফুট প্লাবিত হয়। বিকেল বাড়ার সাথে সাথে বাতাসের গতি বৃদ্ধি পায় ও ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। এদিকে বাতাসের গতি বৃদ্ধি ও মেঘনায় পানি বেড়ীবাঁধ উপচে প্রবাহিত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বাসিন্দারা দ্রুত দলবেঁধে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে দিকে ছুটতে শুরু করে।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৫ টায় বাতাসের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়ন ও ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের পূর্বপাশের ৪ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ উপচে মেঘনার পানি প্রবাহিত হয়। এছাড়াও কোথাও কোথাও বেড়ীবাঁধ ক্ষয়-ক্ষতি হতে দেখা গেছে।
এছাড়াও উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন নবগঠিত ৫ নং কলাতলী ইউনিয়ন চারপাশে বেড়ীবাঁধ না থাকায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। সেখানে রোববার বিকেলে মেঘনায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৩-৪ ফুট জোয়ারের প্লাবিত হয়েছে বলে মুঠোফোনে জানান কলাতলী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার।
সরেজমিনে সকাল থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত পরিদর্শন করে দেখা গেছে, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনারচর, চরযতিন, চরফৈজুদ্দিন কুমিরখালীর পূবপাশে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বেড়ী উপচে পানি প্রবাহিত হয়। এতে ওই এলাকার ৪ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ ক্ষয়ক্ষতি হয়। জোয়ারের পানিতে হাজিরহাট ইউনিয়নের বেড়ীর বাহিরে ৩ টি ঘর ভেঙ্গে পড়ে।
এছাড়াও ১ নং মনপুরার ইউনিয়নের পূর্ব আন্দির পাড় ও রামনেওয়াজ লঞ্চঘাট এলাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। কয়কটি স্থানে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যায়।
স্থানীয়রা জানান, রাতে জোয়ারে বৃদ্ধি পাবে। এতে হাজিরহাট ও মনপুরা ইউনিয়নের পূর্বপাশে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। তাই তারা আতংকিত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছে।
এই ব্যাপারে হাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, হাজিরহাটের পুর্বে পাশে ৪ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানিতে বেড়ীর বাহিরে ৩ টি ঘর ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জিও ব্যাগ ফেলে বেড়ীবাঁধ রক্ষার জন্য জানানো হয়েছে।
এই ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তা মনপুরায় অবস্থান করে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়ীবাঁধ সংস্কারের কাজ করছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণীঝড় মোকাবেলায় প্রশাসনের তরফ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা সকলকে শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিক্ষতি বেড়ীবাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
এপিজে/এসআর